সম্পদের নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় এরশাদের জিডি

প্রথম পাতা » রাজনীতি » সম্পদের নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় এরশাদের জিডি
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০১৯


সম্পদের নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় এরশাদের জিডি

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

স্বাক্ষর জাল করে সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এমন তথ্য অভিযোগে নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
বুধবার রাতে এরশাদের পক্ষে একজন প্রতিনিধি বনানী থানায় ওই জিডি (নম্বর ১৫০২) করেন বলে নিশ্চিত করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, উনার (এরশাদ) কাছ থেকে অনেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই প্রটেকশন হিসেবে এই জিডি করা হয়।
জিডিতে এরশাদ উল্লেখ করেছেন, তার বর্তমান ও অবর্তমানে স্বাক্ষর নকল করে পার্টির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলের বিভিন্ন পদ-পদবী বাগিয়ে নেওয়া, ব্যাংক হিসাব জালিয়াতি এবং পারিবারিক সম্পদ, দোকানপাট- ব্যবসা-বাণিজ্য হাতিয়ে নেওয়া ও আত্মীয়-স্বজনদের জানমাল হুমকির মুখে রয়েছে। এ কারণে তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন এমন অপরাধ করতে না পারে, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দরকার বলে জিডিতে বলা হয়েছে।
বনানী থানার এসআই মোহাম্মদ মুকুল হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে পরিদর্শক (অপারেশন) সায়হান ওয়ালীউল্লাহকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ৯০ বছর বয়সী সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ সম্প্রতি একটি ট্রাস্ট গঠন করে সেখানে তার সব সম্পদ দান করেছেন। পাঁচ সদস্যের ট্রাস্টে এরশাদ নিজে সদস্য হিসেবে থাকলেও স্ত্রী রওশন এরশাদ আর ভাই জিএম কাদেরকে রাখেননি। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, একান্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ আক্তার, চাচাতো ভাই মুকুল ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
বেশ কিছু দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ এরশাদ ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে একদিনও প্রচারে যাননি। নির্বাচনের আগে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পর নির্বাচনের দিন ভোট দিতেও নির্বাচনী এলাকা রংপুরে যাননি এরশাদ। ৬ জানুয়ারি আইনপ্রণেতা হিসেবে শপথ নেন এরশাদ, তবে তিনি সংসদে গিয়েছিলেন হুইল চেয়ারে চড়ে। এরপর ২০ জানুয়ারি আবার সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এরশাদ। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তিনি।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৪:৩৯ ● ৪৬৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ