পিপিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না থাকলেও বাড়ানো হচ্ছে বরাদ্দ

প্রথম পাতা » জাতীয় » পিপিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না থাকলেও বাড়ানো হচ্ছে বরাদ্দ
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০১৯


পিপিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না থাকলেও বাড়ানো হচ্ছে বরাদ্দ

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের কারণে বিগত এক দশকেও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) খাতে সাফল্য আসেনি। তারপরও বাজেটে ওই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে এডিপিতে পিপিপির ৭৮টি প্রকল্প ছিল, সংশোধিত এডিপিতে তা কমিয়ে ৩৭ করা হয়। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপিতে পিপিপির প্রকল্প রাখা হয়েছিল ৩৬টি। পরে সংশোধিত এডিপিতে তা কমে দাঁড়ায় ৩০টিতে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এডিপিতে পিপিপি প্রকল্প ছিল ৩২টি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪০টি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪০টি এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে ছিল সর্বোচ্চ ৪৬টি। অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিগত ২০০৯ সাল থেকেই পিপিপিতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে। পিপিপির মাধ্যমে সমুদ্র ও বিমানবন্দর, সাধারণ ও বিশেষায়িত হাসপাতাল, সড়ক ও রেলপথ এবং বড় বড় সেতু নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল। সেজন্য বিগত ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে প্রতিবারই ওই খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবারও পিপিপি খাতে বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। বরং আগামী অর্থবছরের বাজেটে ওই খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০০৯ সালে বাজেট বক্তব্যে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পিপিপি থেকে প্রতিবছর ৩৯ হাজার কোটি টাকা হিসাবে ৫ বছরে এক লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বিনিয়োগ ঘাটতি মেটাতে যে খাতের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল ওই খাতেই বেসরকারি বিনিয়োগ নেই। দীর্ঘমেয়াদি বলে বেসরকারি খাত পিপিপিমুখী হয়নি। ফলে কখনো পিপিপির পুরো অর্থও খরচ হয়নি। আর হানিফ ফ্লাইওভার ছাড়া পিপিপির মাধ্যমে কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। তা সত্ত্বেও ২০০৯-১০ অর্থবছরের পর থেকে টানা পাচ অর্থবছরই ওই খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়। তারপর আবার টানা ৩ অর্থবছর বরাদ্দ রাখা হয় ২ হাজার কোটি টাকা করে। আর চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওই খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই বরাদ্দের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র এক হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড় করার আবেদন পেয়েছে অর্থ বিভাগ। যাচাই-বাছাই করে চলতি মাসেই ওই অর্থ ছাড় করা হবে। যদিও অর্থবছরের শেষ দিকে ছাড় করা সেই অর্থ কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যেই আগামী অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা পিপিপি খাতে বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর আগামী মাসে বরাদ্দের পরিমাণ চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে পিপিপি সফল করতে আবারো নতুন কিছু উদ্যোগ নেয়া হতে পারে। বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী ওই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারেন। পিপিপির সাফল্য নিশ্চিত করতে আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৩০ শতাংশ প্রকল্প ওই খাতের মাধ্যমে নিতে হবে বলে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ৮:০৪:১৪ ● ৩৬৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ