নেছারাবাদে ছাত্রকে পেটালো শিক্ষক

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে ছাত্রকে পেটালো শিক্ষক
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০১৯


---

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুদর্শন বড়ালের বিরূদ্ধে। উপজেলার স্বরূপকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুদর্শন বড়াল ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রণির ছাত্র সাফিন আহম্মদ (১০) পিটিয়ে গুরূতর আহত করে। আঘাতের চিহ্ন তার পিঠে দৃশ্যমান হয়েছে। বুধবার সকাল দশটার দিকে বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সে নেছারাবাদ উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও)  মোঃ ইউসুফ আলির ছেলে ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বন্ধুদের সাথে সামান্য ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বিচারের নামে তাকে স্কেল দিয়ে পিঠে আঘাত করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বাবার চোখে ধরা পড়ে সেই বর্বর শিক্ষকের আঘাতের চিহৃ। এটিইও সাহেব তখনই তার র্স্মাট ফোন থেকে ছবি তুলে আবেগঘন হৃদয় দিয়ে নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন  “এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা এগিয়ে যাচ্ছে দেশ”। মুহূর্তের মধ্যে তার পোষ্ট করা স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং সর্বশেষ সাংবাদ কর্মি পর্যন্ত পৌছে যায়।
তথ্য সূত্রে জানা যায় সহকারী শিক্ষক সুদর্শন সাহেব স্বরূপকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘ  প্রায় এক যুগেরর বেশি সময় ধরে বদলি বিহীন দাপটের সাথে শিক্ষকতার অন্তরালে প্রাইভেট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কলেজ লেবেলের স্ট্যাইলে দুই সিফটে একদিন পর পর প্রাইভেট পড়ান অর্থাৎ সপ্তাহে তিন দিন, প্রতি ব্যাচে ১৫/২০জন করে। সকালে তিন ব্যাচ বিকালে তিন ব্যাচ জনপ্রতি পাঁচশত টাকা করে নেয়। সরকারী বেতন ছাড়াও সুদর্শন বাবুর তার প্রতিমাসে ইনকাম প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং তার কাছে যারা প্রাইভেট না পড়ে পরীক্ষায় তাদের নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ আছে। সুদর্শন এর পূর্বে বর্তমান স্কুল কমিটির সভাপতি হাসিনা মনির নাতিকে মারপিট সহ একাধিক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে, শ্রেণী কক্ষ থেকে টেনে হিছড়ে ছাত্রকে মারতে মারতে লাইব্রেরীতে নিয়েও মারপিটের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয় শিক্ষা অফিসার ইউসুফ আলি বলেন, সে আমার ছেলেকে নিজের সন্তানের মতো মনে করে মেরেছেন, তাকে  মানুষ করার জন্য মেরেছেন এ জন্য আমার কোন অভিযোগ নাই। আমি ফেইসবুকে একটা সচেতন মূলক পোষ্ট দিয়েছি মাত্র যাতে শিক্ষকরা সকলে একটু সচেতন হয় এবং মনে রাখেন, বাচ্চাদের কে এভাবে মারা ঠিক নয়।
এ বিষয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল হক বলেন, আমি তখন স্কুলে ছিলাম না, এখন ছাত্ররা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে না সুদর্শন বাবু মেরেছে এ বিষয় আমি কিছু জানিনা। অভিযুক্ত শিক্ষক সুদর্শন বড়ালের সাথে এ বিষয় জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জানিনা কখন আবার আমাদের ছেলে মেয়েদের সাথে এরকম ঘটনা ঘটবে। আপনাদের মাধ্যমে  আমারা শিক্ষা অফিসার সহ নেছারাবাদ নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বলতে চাই, এরকম শিক্ষকের বিরূদ্ধে জরুরীভাবে ব্যাবস্থা নেয়া হোক। শিক্ষক হবে বাবা মার মতো শিক্ষক হবে বন্ধুর মতো সুদর্শনের মতো এ রকম বর্বর শিক্ষক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না থাকাই ভালো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৪:১৮ ● ১৯৫৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ