বানারীপাড়ায় নিম্নমানের উন্নয়ন কাজ, ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ
প্রথম পাতা »
বরিশাল »
বানারীপাড়ায় নিম্নমানের উন্নয়ন কাজ, ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০১৯
বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বানারীপাড়ায় নিম্মমানের উন্নয়ন কাজ ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির। বৃহস্পতিবার সকালে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্দের বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের ব্রাম্মনকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নির্মিত গেট নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে সেটি নিম্মমানের হওয়ায় ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। এসময় ওই কাজ বাস্তবায়নের দায়ীত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ শ্রমিক নিয়ে সেটি ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে সদ্য নির্মিত ওই গেট ভেঙ্গে পড়ে রনি নামের এক শ্রমিক আহত হন। স্কুল ছুটির পূর্বমূহূর্তে এ ঘটনা ঘটায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে ওই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে যে কাজগুলো নিম্মমানের পাওয়া যাবে সেগুলো ভেঙ্গে ফেলা হবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলেও জানান।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিম্নমানের হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, সরকারী বিভিন্ন উন্নয়নর কাজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইষ্টিমিট অনুযায়ী ইট-পাথর ও রড-মিসেন্টের বর্তমান বাজার দরের পাশাপশি ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো শতভাগ কাজ করতে পারছে না। ফলে তারা লোকসান এরিয়ে কিছু লাভের আসায় নি¤œ মানের কাজ করছেন বলে নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক ঠিকাদার জানান। তারা আরও জানান, আগামী জুলাই থেকে রড-সিমেন্ট ও ইট-পাথরের দাম বৃদ্ধি পেলে সরকারের ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ কাজ করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সংসয় রয়েছে।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের ব্রাম্মনকাঠী এলাকার ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম সুমন ঘরামী ও ব্রাক্ষ্মনকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলু হালদার জানান, ঠিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক লাভের আশায় নিম্নমানের কাজ করছেন। এর প্রমান হিসেবে তারা জানান, বিদ্যালয়ের মূল গেট নির্মাণে ১৬ মিলি রড দেয়ার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১২ মিলি রড এবং ১২টি রড দেয়ার স্থলে মাত্র ৪টি রড দেয়ার কারনে গেটটি ভেঙ্গে পড়ে। অবশ্য এর অগে তারা ওই কাজ নিম্নমানের হওয়ায় উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহর কাছে অভিযোগ করে ছিলেন। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, বিদ্যালয়ের গেট নির্মান কাজটি নিম্নমানের হওয়াার প্রমান পাওয়ায় তারা পূণরায় সেটি নতুন করে নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৬:৫৩ ●
৫৭১ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)