চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলার আলীগাঁও গ্রামে ও পৌর সভা ৬নং ওয়ার্ড থেকে পুলিশ পৃথক পৃথক ভাবে শুক্রবার সকালের দিকে দু‘টি লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার আলীগাঁও প্রতিপক্ষের হামলায় আরো ৩জন আহত রয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত সন্দেহে ৩জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আসলামপুর আলীগাঁও গ্রামের ১নং ওয়ার্ড জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্রীবাস চন্দ্র দেবনাথ, অঞ্জলি রানী দেবনাথ ও সুমনের নেতৃত্বে ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ(৬০), বগবতী রাণী দেবনাথ(৫০), লিপি রানী(২০)কে মধ্যযুগীয় কায়দায়(টেটা দিয়ে) কুপিয়ে জখম করেছে। তাদেরকে চরফ্যাশন হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ধীরেন্দ্র দেবনাথ(৬০)কে মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদেরকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার তাদেরকে শুক্রবার সকালেই বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। চরফ্যাশন থানা পুলিশ উক্ত ঘটনায় সাথে জড়িত থাকায় পার্শ্ববর্তী শ্রীবাস চন্দ্র দেবনাথ, অঞ্জলি রানী দেবনাথ ও সুমন নামে ৩জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রীবাস চন্দ্র দেবনাথ, অঞ্জলী রানী দেবনাথের সাথে জমি দিয়ে বিরোধ চলছিল। ইতিপূর্বে নিহতের পরিবার অন্যত্রে বেড়াতে গেলে তাদের ঘরের সামেনে কাটা দেয়া হয়। রাতের আঁধারে তাদের ঘর থেকে সকল মালামাল লুট করে নেয়। এই ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ অভিযোগ করলে পুলিশ গিয়ে ঘরের সামনের কাটা সরিয়ে ফেললেও লুট-পাটের ঘটনায় কোন মামলা বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড নিখিল কর্মকার এর ছেলে শুপ্রিয় কর্মকার(২২) নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি পাশের বাগানে কেজা গাছের সাথে গলা ফাঁস দিয় অত্মহত্যা করেছে। চরফ্যাশন পৌর মেয়র, পুলিশ ও স্থানীয়রা জুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে স্থানীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সে মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগলের মত) রাস্তা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বেড়াত। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)ম.এনামূল হক বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে ধীরেন্দ দেবনাথকে হত্যা করার অপরাধে জড়িত থাকায় ৩জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গলায় ফাসঁ দেয়া শুপ্রিয় কর্মকার মানুষিক ভারসাম্যহীন ছিল। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।