ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সরকার যখন শাসক হয়ে যায় তখনই দুঃশাসন মাথাচাড়া দেয়। দেশে বর্তমানে কোনো সরকার নেই, আছে শাসক। আর সেই শাসকের ক্যাপ্টেন হচ্ছেন (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি হলে জিয়া আদর্শ একাডেমির উদ্যোগে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির যে অবস্থা হয়েছে এটা তো দেশের একটি খ-চিত্র মাত্র। সারাদেশ ধর্ষিত, অগ্নিদগ্ধ। ফেনীর সোনাগাজীতে কী হয়েছে তা আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনই ভালো জানেন। তিনি বলেন, নুসরাত চলে গেছে, তাকে যে থানার ওসি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সেই ওসির কত বড় দুঃসাহস জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও করলো। সেই ভিডিওটি আবার প্রকাশ করলো কীভাবে? তার বিরুদ্ধে প্রথমে প্রথমে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে তাকে রিমান্ডে নেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা এই আওয়ামী শাসকরা করবে না। কারণ এরা তো সরকার না এরা হচ্ছে শাসক।
যুবদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, এক মন্ত্রী বলেছেন খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে সুপারিশ করলে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে। আরেক মন্ত্রী বলেছেন প্যারোলের কোনো প্রশ্নই আসে না। আইনগতভাবে মুক্তি নিতে হবে। নিজেরা পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে একটি নাটক তৈরি করেছেন। এ নাটকের মধ্য দিয়ে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই নাটক নিয়ে আমরা যেন গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা না করি। শেখ মুজিবুর রহমানের প্যারোল আর খালেদা জিয়ার প্যারোল এক নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান আমলে প্যারোলে মুক্তি নিয়েছিল। তার আগে রাজপথে অনেক রক্ত ঝরেছিল। তখন শেখ মুজিবের বয়স ছিল ৪৫ থেকে ৪৬ বছর। আর এখন খালেদা জিয়ার বয়স ৭৫, এসব বিবেচনা করতে হবে। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনে আমলে প্যারোলে মুক্তি নিয়েছিল শেখ হাসিনা। তখন খালেদা জিয়াকে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে জনগণের মাঝখান থেকে সরাতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার, প্রশাসন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ-র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভিক্ষা দেওয়া ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। তাদের ভিক্ষা দেওয়া ভোটে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাই এই সরকারের কাছে আমরা এর চেয়ে বেশি কি আশা করতে পারি। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আজম খানের সভাপতিত্বে ও জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
এফএন/কেএস