৪০ হাজারে ক্যাশিয়ার ১ কলাপাড়ায় ভোগান্তিতে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা

প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » ৪০ হাজারে ক্যাশিয়ার ১ কলাপাড়ায় ভোগান্তিতে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা
মঙ্গলবার ● ৯ এপ্রিল ২০১৯


---

ফরাজী মো.ইমরান, কলাপাড়া থেকে॥
কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে রয়েছে মাত্র একজন ক্যাশিয়ার। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনের দাড়িয়ে থেকে দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। আর এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।
পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া পল্লীবিদ্যুৎ জোনে রয়েছে কলাপাড়া, মহিপুর, তালতলী ও আমতলী (আংশিক) মোট চারটি থানা। এ সব থানার ২২ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার মোট গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে ৪২ হাজার দুইশত ৮৫জন ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বয়োবৃদ্ধ, খেটে খাওয়া মানুষ ও নারী গ্রাহকসহ প্রায় শত মানুষ কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে লাইনে দাড়িয়ে আছে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য। বিল শাখায় রয়েছে মাত্র এজন ক্যাশিয়ার। আর এ একজন ক্যাশিয়ারের একটি বিল গ্রহন করতে সময় লাগছে ৩ থেকে ৫ মিনিট। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। এছাড়া অনেক গ্রাহক বড় লাইন দেখে বিল না দিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। ফলে বিদ্যুৎ বিল দিতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।
যদিও কলাপাড়া শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন তথ্য সেবা, এজেন্ট ব্যাংকিং এবং টেলিটকের মাধ্যমেও বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করা যায়। কিন্তু শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে গিয়েও চোখে পড়ে একই চিত্র। তাছাড়া প্রচার প্রচারনার অভাবে অনেকই জানেনা জিজিটাল পদ্ধতিতে বিল পরিশোধের কথা। তবে খুব দ্রƒত সময়ের মধ্যে আরও একজন ক্যাশিয়ার নিয়োগ ও বিদ্যুৎ বিল গ্রহনের ব্যাপরে আরও কোন ব্যাংকের সাথে চুক্তি করলে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি অনেকটা কমবে বলে মনে করেছেন বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা ধানখালীর গ্রাহক মানিক মিয়া জানান, দেড় ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে আছি। এখনও বিল দিতে পারিনি। পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাহক শাহিন মৃধা জানান, এক ঘন্টা যাবৎ দাড়িয়ে আছি। আরও দুইদিন বিল দিতে এসে বড় লাইন দেখে ফিরে গেছি। ষাটোর্ধ্ব গ্রাহক রিক্সা চালক রহমান মিয়া জানান, রিক্সা চালানো বাদ রেখে আরও একদিন বিল দিতে এসেছিলাম। এক ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে সময় শেষ হওয়ায় আর বিল দিতে পারিনি। আবার আজ আসলাম কত সময় লাগবে বুঝতে পারছিনা।
কলাপাড়া পল্লী বিদু্যুৎ সমিতির ডিজিএম শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের দুইজন ক্যাশিয়ার ছিল। বর্তমানে একজন ক্যাশিয়ার আছে। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। আসা করছি দ্রƒত সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল গ্রহনের ব্যাপারে আমরা আরও কোন ব্যাংকের সাথে চুক্তিবধ্য হওয়ার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০০:৪২ ● ৭২৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ