ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ব্রিটিশ মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড ও ইতালির নতুন রাষ্ট্রদূত এনরিকো নানজিয়াটা। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান তারা।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন ব্রিটেনের ফরেন ও কমনওয়েলথ অফিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মিনিস্টার অব স্টেট মার্ক ফিল্ড। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নানজিয়াটা। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, দুই অতিথির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রেস সচিব বলেন, ব্রিটেনের মন্ত্রী পুননির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
মার্ক ফিল্ড বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনা রয়েছে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে তাদের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন মার্ক ফিল্ড।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা বড় একটি চাপ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যেকার চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেন ও সেদেশের তার জনগণের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন তিনি।
ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় দেশটির সমর্থনের প্রশংসা করেন। গণতন্ত্রের জন্য নিজের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সম্প্রসারণ করেছে এবং বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার যাতে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো চাপ দেওয়া উচিত। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ইতালির দূত এনরিকো নানজিয়াটা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গতিশীল করতে কাজ করবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটা পার্লামেন্টারি গ্রুপ করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে টেক্সটাইল ও অন্যান্য প্রযুক্তির ওপর একটি ট্রেনিং সেন্টার করতে ইতালির আগ্রহের কথা জানান তিনি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উনি হচ্ছেন বিশ্বের বহু দেশের অনুপ্রেরণার উৎস। প্রধানমন্ত্রী নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের চামড়া খাতে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে ইতালির চামড়াজাত পণ্যের সুনাম রয়েছে। তারা গুণগতমানের প্রতি নজর রাখে। বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/এমআর