ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
শিগগিরই বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, যক্ষ্মা রোগের ওধুষ তৈরির জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশে অসংক্রামক রোগ দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে দেশে এমন রোগী রয়েছেন ৬৫ শতাংশ। একইসঙ্গে সরকার স্বাস্থ্য খাতে সমতা আনতে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ স্বাস্থ্যসেবার বাইরে থাকবে না বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, বাবলু কুমার সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সমতা ও সংহতি নির্ভর সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা’। যা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জাতির সামগ্রিক স্বাস্থ্যরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার স্বাস্থ্যমান উন্নয়ন, সংরক্ষণ, সেবার মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। প্রতিবছরই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য থাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যাকে চিহ্নিত করে, সে বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি, সমস্যা সসাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সকলের সমর্থন অর্জন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের বিস্তার, সার্বিক প্রজনন হার ও অনাকাক্সিক্ষত প্রজনন হার হ্রাসকরণ এবং নারী ও পুরুষের গড় আয়ু, প্রথম সন্তান জন্মের সময় মায়ের বয়স, পুষ্টিমান ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে ১৩ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স এবং ১৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ১০ হাজার চিকিৎসকসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সরকার বর্তমানে জিডিপির ০.৯২ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করছে। অত্যাবশকীয় ওষুধের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে ৬৫ শতাংশ মানুষকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও দিবসটি উদযাপনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, আলোচনা অনুষ্ঠান, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, জারি গানসহ অন্যান্য আরও অনেক। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হবে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ ছাড়া জেলা এবং উপজেলায়ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে।
এফএন/এমআর