বাজেটে দেশি শিল্পকে সুবিধা দিলে বিনিয়োগ বাড়বে: এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রথম পাতা » জাতীয় » বাজেটে দেশি শিল্পকে সুবিধা দিলে বিনিয়োগ বাড়বে: এনবিআর চেয়ারম্যান
বৃহস্পতিবার ● ৪ এপ্রিল ২০১৯


চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

অতীতের মতো আসন্ন বাজেটেও দেশি শিল্পকে সুবিধা দেয়া হলে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশি শিল্পকে সুবিধা দিতে হবে। কয়েক বছর ধরে যা যা করার করছি। এটি অব্যাহত থাকলে মানুষ শিল্পায়নে আগ্রহী হবে। বিনিয়োগ বাড়বে। ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার চলতি বাজেট। আগামি বাজেট প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা। স্মল ও মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে শিল্পায়ন শুরু হয়েছে দেশে। পাশাপাশি বৃহৎ শিল্পও হচ্ছে। জনসংখ্যা আমাদের সম্পদ হয়েছে। তুলনামূলক এদেশে সস্তা শ্রম। আবার শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। আশির দশক থেকে তৈরি পোশাক শিল্প ভালোভাবে এগোচ্ছে। আমরা আয়কর বাড়াতে চাই। কাস্টম শুল্কের ওপর কম গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্যাংকের কাছ থেকে আগের তুলনায় সরকার ঋণ কম নিচ্ছে। কর ও ভ্যাটের আওতা বাড়াতে হবে। গ্রামের অনেক ব্যবসায়ী করের আওতার বাইরে। ব্যবসায়ীদের অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিনের ওপরও জোর দিচ্ছে সরকার। জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে সরকারের সহায়তার কারণে। এখনো অনেক সম্ভাবনা আছে। তাই সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে।
ঢালাওভাবে ৮-১০ বছর ধরে ক্যাপিটাল মেশিনারির ওপর শুল্ক সুবিধা দিয়ে আসছে। আমরা দেশে গাড়ির সংযোজন চাই না। উৎপাদন চাই। কর্মসংস্থান চাই। তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নের আগে ব্যবসায়ীদের চাহিদা জানার জন্য মতবিনিময় করা হয়। সব প্রস্তাব হয়তো বাস্তবায়ন করতে পারি না। কিছু বাস্তবায়ন হয়। আমরা এমন কিছু করবো না যাতে শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য ফিরোজ শাহ আলম, কানন কুমার রায়, সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, এবার শুল্ক সংক্রান্ত ১৪৮টি, আয়কর সংক্রান্ত ৪৪টি প্রস্তাব ও নতুন ভ্যাট আইনের ওপর পর্যবেক্ষণ দিয়েছি। ব্যক্তি কর সীমা সাড়ে ৩ লাখ, নারী ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের আয়কর সীমা ৪ লাখ, প্রতিবন্ধীদের পৌনে ৫ লাখ এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সোয়া ৫ লাখে উন্নীত করার অনুরোধ জানান। বৃহত্তর চট্টগ্রামের মেগাপ্রকল্পগুলো তুলে ধরে মাহবুবুল আলম বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে আগামি বাজেটে যথাযথ নির্দেশনা দিতে হবে। ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে হবে। বড় দারোগা হাটে ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে জানিয়ে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, দেশের সব মহাসড়কে ওজন স্কেল না বসানো পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেলের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হোক। যেসব শিল্প ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে ব্যবসা করে (কমপ্লায়েন্ট) তাদের দ্রুত ও হয়রানিমুক্ত আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের (এইও) মর্যাদা দেওয়ার অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি। তিনি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কিছু অংশের কাজ বাকি থাকায় এ প্রতিষ্ঠানের সুদ, মুনাফা ও ঘরভাড়া থেকে আয় করমুক্ত ঘোষণার বিশেষ অনুরোধ জানান।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৫:০১ ● ৯৬৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ