করে দেশে হরণতন্ত্র চালু হয়েছে: রিজভী

প্রথম পাতা » রাজনীতি » করে দেশে হরণতন্ত্র চালু হয়েছে: রিজভী
বৃহস্পতিবার ● ৪ এপ্রিল ২০১৯


মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে রিজভী

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশে হরণতন্ত্র চালু করেছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি এক এক করে গণতন্ত্র হরণ করেছেন, স্বাধীনতাকে ধবংস করেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছেন। আপনি গণতন্ত্র ধ্বংস করে আপনি হরণতন্ত্র চালু করেছেন।
সরকারপ্রধানের প্রতি প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, তারপরও কি টিকে থাকা যাবে? প্রধানমন্ত্রী গণজোয়ারের সম্ভাবনা আপনি হয়ত টের পাচ্ছেন না। কিন্তু অন্যায়-অবিচারের লৌহশৃঙ্খল ভেঙে যে গণজোয়ার তৈরি হবে, সেই গণজোয়ার আপনি কোনোভাবে ঠেকাতে পারবেন না। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই বিভোক্ষ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন। তাতে আপনার সাময়িক লাভ। কিন্তু আপনার মনে কী শান্তি আছে? অবৈধভাবে, অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকলে কখনো মনে কখনই শান্তি থাকে না। পতনের আশঙ্কায় আপনার দুঃশ্চিন্তা সব সময় থাকবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, দেশনেত্রী সুস্থ মানুষ কারাগারে হেঁটে গেলেন। এখন তিনি হাঁটতে পারছেন না, হুইলচেয়ার ব্যবহার করছেন। তিনি মাথা সোজা করতে পারছেন না। জেলখানার একটি অন্ধকার প্রকোষ্ঠের মধ্যে রেখেছেন তাকে। সেখান থেকে টেনে হেঁচড়ে দু’দিন পর পর আদালতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেনো? তিনি বলেন, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সত্যের জন্য এই ইট-পাথর-কংক্রিটের রাজপথের মিছিল চলবে, আন্দোলন চলবে, যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী আর টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মিছিল থামবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না গণতন্ত্রের মুক্তি হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়া মুক্ত হন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন। তাতে আপনার সাময়িক লাভ। কিন্তু আপনার মনে কি শান্তি আছে? অবৈধভাবে, অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকলে মনে কখনোই শান্তি থাকে না। নেলসন মেন্ডেলাকে ২৭ বছর কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছিল। সে দেশের শ্বেতাঙ্গ সরকার আটকিয়ে রেখেছিল। তাতে জনগণ কার দিকে ছিল? বিশ্বজনমত কার দিকে ছিলো? শ্বেতাঙ্গরা সেদিন বাঁচতে পারেনি। গোটা বিশ্বে নন্দিত-জননন্দিত নেতা নেলসন মেন্ডেলা। মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা আমাদের মাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলছে এবং চলবে। আমরা শুধু বলতে চাই, জাগো নারী জাগো বন্দি… এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
সমাবেশ শেষে কার্যালয়ের সামনে থেকে কাকরাইলের নাইটেঙ্গেল রেস্তোরাঁর মোড় পর্যন্ত মিছিল বের করে মহিলাদল। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া, সাবিনা ইয়াসমীন, মাসুদা খানম লতা, নিলুফার ইয়াসমীন নিলু, সেলিনা হাফিজ, মর্জিনা আফসারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২১:০১ ● ৪৮৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ