ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘অটিজম: প্রতিপালন সেবা কাঠামো এবং পরিবারকেন্দ্রিক যতœ’ শিরোনামে একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ ও কাতার মিশনের যৌথ উদ্যোগে এবং ‘অটিজম স্পিকস্’ এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের সহযোগী আয়োজক ছিল ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, বেলারুশ, ওমান, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ‘শুভেচ্ছা দূত’ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, আমরা প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর উপসর্গের প্রশমন করতে চাই। কিন্তু আমরা তাদের বিশেষ মানব বৈচিত্রের পরিবর্তন ঘটানোর কোনো প্রয়োজন দেখি না। আমরা তাদেরকে সফল, সুখী ও উৎপাদনশীল করে গড়ে তুলতে চাই। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারে আক্রান্তদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেওয়া পরিবার-কেন্দ্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট অর্জনের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটিতে সব অংশীজনের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আমরা প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। আমাদের সরকার ‘উদ্ভাবনীর সংস্কৃতি’কে এবং অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের সেবাদানকারীদের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণকে উৎসাহিত করছে। সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি প্রতিবন্ধী সংশ্লিষ্ট ই-সেবা এবং ওয়েভ ও আইসিটি ভিত্তিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নব অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন অ্যাপস্ ও অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা আজ অনেক কিছু করছে।  বেলারুশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্ড্রি ড্যাপকিউনাস ইভেন্টটির উদ্বোধনীতে অংশ নেন। ইভেন্টটির দ্বিতীয় পর্বে একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, এতে মডারেটর ছিলেন এন্ডি সিহ্।

এফএন/এমআর