কিশোরগঞ্জের হাওড়ে প্রায় ৪ হাজার একর জমির ধান নষ্ট

প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » কিশোরগঞ্জের হাওড়ে প্রায় ৪ হাজার একর জমির ধান নষ্ট
বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০১৯


কিশোরগঞ্জের হাওড়ে প্রায় ৪ হাজার একর জমির ধান নষ্ট

কিশোরগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর, মাইজচর ও দিঘীরপাড়ের একাংশ সোমবার দুপুর ও সন্ধায় শীলাবৃষ্টিতে বিআর ২৮ ধান ও বিআর ২৯ ধান নষ্ট হওয়ার ফলে কয়েক হাজার কৃষকের প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে কৃষকরা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় কয়েক কোটি টাকা হবে বলে কৃষকরা ধারণা করছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন গেলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে সোহেল মিয়া, জাহের মিয়া, মল্লিক মিয়া, মুর্শিদ মিয়া, আক্তাছ মিয়া, জয়নাল মিয়া, সঙ্কর দাস, হামিদ মিয়া, সেলিম মিয়া, শফিকুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, ফরিদ মিয়া, আজহার খান সহ এসব হাওড়ের কয়েকশ কৃষক জানান, তারা বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাও আবার সোমবারের দুই দফা শীলাবৃষ্টিতে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কেউ কেউ মহাজনী সুদ, ব্যাংক লোন ও এনজিও থেকে লোন এনে জমিগুলো রোপন করেছিলেন। তারা আরো জানান, আমাদের এহন শেষ সম্বলটুকু আল্লাহ নিয়া গেছে। এহন আমাদের দেকবো কেডা। ঋণ পরিশোধ করাত আমাদের পক্ষে সম্ভব না। জি-পোলা নিয়া না খাইয়া মরতে অইবো। সরকার বাহাদুর যদি আমাদের সাহায্য না করে তাহলে পরিবার পরিজন নিয়া বাঁচতে পারবো না।
এদিকে এই শীলাবৃষ্টিতে হুমাইপুর ফুলনারবানু বলেন, যাও একটা ভাঙ্গা চাঙ্গা ঘর ছিল, সোমবারের দুই বারের শীলাবৃষ্টিতে ঘরের ছাল বিশাল বিশাল ছিদ্র হয়ে গেছে। সোমবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে বিজ্যা ৮-১০ পোলা-মাইয়া নিয়া কোন রকম ঘরের মধ্যে ঠাই লইয়া আছি। মঙ্গলবার দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন মাষ্টার ও দিঘীরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান আমিন মোহাম্মদ ফারুক সরেজমিন গিয়ে কৃষকের করুন অবস্থা দেখে বলেন, সরকারি ভাবে কৃষকদেরকে সহযোগীতা না করলে কৃষকরা আস্তে আস্তে ধানী জমি করবে না। মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ছাব্বির আহাম্মেদ জানান, তাদের তথ্য মতে কৃষকদের ৭৫০ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, এ ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমাণ ৬-৭ দিন না যাওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১১:০৯:১৯ ● ৮৭৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ