ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুগ বদলে গেছে। সময় উপযোগী চলচ্চিত্র বানাতে হবে। প্রেক্ষাগৃহ আধুনিক করতে হবে। তাহলে আগামি দিনে আবারও চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসবে। সরকার চলচ্চিত্রের ব্যাপারে অনেক আন্তরিক।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে বিএফডিসিতে পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দুদিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র সমাজের ক্যানভাস পরিবর্তন করে দিতে পারে। মানুষকে হাসাতে পারে ও কাঁদাতে পারে। সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। সমগ্র পৃথিবীতে চলচ্চিত্র শিল্পের কোনো বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র শিল্পের বিকল্প টেলিভিশন, ইউটিউব, কিংবা নেটফ্লিক্সে চলচ্চিত্র দেখা নয়। চলচ্চিত্রের বিকল্প চলচ্চিত্র, অন্যকিছু হতে পারে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন গঠনের লক্ষ্যে একটি বিল উত্থাপন করেন। বিলটি সেদিনই সংসদে পাস হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এজন্যই আজকের দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে আমরা উদযাপন করছি। জাতির জনকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, বিএফডিসি আধুনিকায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। এ ছাড়া ৩২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএফডিসিতে অত্যাধুনিক একটি ভবন নির্মিত হচ্ছে। যেখানে সিনেপ্লেক্স থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলচ্চিত্র নির্মাণের সুযোগ থাকবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএফডিসি’র মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, চিত্রনায়ক আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মহাপরিচালক হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ। জহির রায়হান ভিআইপি প্রজেকশনের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস আমাদের আনন্দের একটি দিন। আসুন আমরা সবাই মিলে আনন্দের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করি। ‘চলচ্চিত্র বাঁচলে সংস্কৃতি বাঁচবে’ স্লোগান নিয়ে এবার জাতীয় দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। অনুষ্ঠান শেষে বিএফডিসি থেকে একটি র্যালি বের করা হয়।
এফএন/এমআর