আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে সোমবার রাতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজুর সমর্থক আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান একেএম নুরুল হক তালুকদার ও গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মতিউর রহমানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় চেয়ারম্যান নুরুল হক তালুকদারের ফুফাতো ভাই মোটর সাইকেল চালক দেলোয়ার হোসেন লাঠি নিয়ে গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের লোকজনকে ধাওয়া করে। সোমবার সন্ধ্যা রাতে গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের সমর্থক কাওসার আহম্মেদ পপিন মোটর সাইকেল চালক দেলোয়ারকে লাঠি নিয়ে গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের লোকজনকে ধাওয়া করার বিষয়টি জানতে চায়। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় পপিন মোটর সাইকেল চালক দেলোয়ারকে থাপ্পর মারে। এ বিষয়টি স্থানীয় লোকজন মিমাংসা করে দিলেও মোটর সাইকেল চালক দেলোয়ার এতে সন্তুষ্ট না হয়ে পরাজিত প্রার্থী সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজুর সমর্থক আবুল বাশার মানিককে (কালা মানিক) জানায়।
মোটর সাইকেল চালককে মারধরের বিষয়টি নিয়ে মানিক ও পপিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় পপিন ও তার লোকজন মানিককে মারধর করে। খবর পেয়ে মানিকের ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্র দিয়ে পপিন ও তার লোকজনকে ধাওয়া করে। ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। মানিক বাহিনীর তান্ডবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত রিয়াজ (২৭), মজিবুর (৩৫), পপিন (৩৫), পলাশ (৩০), হুমায়ূন (৪০), কালা মানিক (৪৫) নিজাম (৫০), আবু বকর (৪০), হাসিব (২৫) ও কামাল মৃধাকে (৪৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খরর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, মানিক বাহিনী ও পপিনের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। এ ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত জনকে থানা আনা হয়ছে।