ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
সুলতান মনসুরের পর এবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন গণফোরামের আরেক নেতা মোকাব্বির খান। তার চিঠির প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সংসদে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জোটসঙ্গী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন গণফোরামের দুই নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া সুলতান মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে এরইমধ্যে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। ওই সময় মোকাব্বিরও শপথ নেবেন বলে জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি পিছু হটেন। মোকাব্বির খান গতকাল সোমবার চিঠি পাঠিয়ে মঙ্গল বা বুধবার শপথ আয়োজনের অনুরোধ করেন বলে জানান সংসদ সচিবালয়ের সচিব জাফর আহমেদ।
সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে নির্বাচিত মোকাব্বির দাবি করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই সংসদে যাচ্ছেন তিনি। গণফোরামের প্যাডে পাঠানো ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আমি ও আমার দল গণফোরাম আগামি ২রা এপ্রিল বা ৩রা এপ্রিল শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলছেন, দলীয় ফোরামে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এবার ভোটে অংশ নেয় গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেৃতত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে। এই নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়া বিএনপি জোট মাত্র আটটি আসনে জয়ী হয়, যার দুটিতে নির্বাচিত হন গণফোরামের এই দুই নেতা। নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে নতুন নির্বাচনের দাবি তোলা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ভোটে বিজয়ীদের শপথ না নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই শপথ নেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর। তার শপথ নেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমাগো লগে থাইকা, আমাদের এখান থেকে আমরা পাখি ছাইড়া দিলাম, সংসদে চইলা গেল। আরও কিছু অপেক্ষা (সংসদে যোগদান) করছে কি না, আরো কিছু যাবে কি না-তাও জানি না। তিনি এই সংশয় প্রকাশের দুই সপ্তাহ না যেতেই শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন মোকাব্বির খান।
তিনি বলেন, আমি শপথ নেওয়ার যে চিঠি দিয়েছি তা দলের সিদ্ধান্তে দেওয়া হয়েছে। এটা আমার দলের সিদ্ধান্ত। তবে তা অস্বীকার করে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, দলের সিদ্ধান্ত আগে যেটি ছিল সেটিই আছে। উনি যদি দলের কথা বলে থাকেন তাহলে তা সঠিক নয়। আর গণফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদন ছাড়া কেউ দলীয় প্যাড ব্যবহার করতে পারেন না। উনি যদি দলীয় প্যাডে চিঠি দিয়ে থাকেন তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ।