ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
দেশের দুই হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকও সমমানের পরীক্ষা, যাতে অংশ নিচ্ছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস) এবং আলিমে কুরআন মাজিদ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় সকালে বাংলা-২ (নতুন সিলেবাস), বাংলা-২ (পুরাতন সিলেবাস); বিকালে বাংলা-১ (সৃজনশীল নতুন সিলেবাস), বাংলা-১ (সৃজনশীল পুরাতন সিলেবাস) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্সে সকালে বাংলা-২, বিকালে বাংলা-১ (সৃজনশীল) পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সকালে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ বছর এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে আগামি ১১ মে পর্যন্ত। তারপর ১২ থেকে ২১ মে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। আর এ বছর নিবন্ধন করেছেন ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৪০ হাজার ৪৮ জন।
নয় হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার উচ্চমাধ্যমিকও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে । পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে মোট দুই হাজার ৫৭৯টি কেন্দে। এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৪৩ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৮৭ হাজার নয়জন ছাত্রী। দেশের বাইরে এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ২৭৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এসএসসির মত এইচএসসিতেও আছে বাড়তি কড়াকড়ি। আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এরপর কেন্দ্রে এলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়- এরকম কোনো ফোন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যবহার করতে পারবেন না।
ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা ওইরকম কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। এসএসএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে। এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন। আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাবেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
এফএন/এমআর