আগৈলঝাড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৮

প্রথম পাতা » বরিশাল » আগৈলঝাড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৮
সোমবার ● ১ এপ্রিল ২০১৯


---

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে গত দুই দিনে অন্তত ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। উপজেলা হাসপাতালে সরকারীভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় স্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না চিকিৎসক। ফলে চরম দুর্ভোগে পরেছে কুকুরের কামড়ে আহত গরীব অসহায় রোগীর পরিবার।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনি ও রবিবার দুই দিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা গ্রামের সোবাহান সরদারের স্ত্রী মুন্নী আক্তার (৩৫), একই গ্রামের সৈয়দ খালেকের ছেলে আহসান হাবিব (৫৫), টেমার গ্রামের আবুল খানের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৪৫), ওই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪), উত্তর শিহিপাশা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রেজা (৪), কালুপাড়া গ্রামের অশোক দাসের মেয়ে অনন্যা দাস (৮), ওই গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে রিয়াজ মোল্লা (১৯), পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে জলিল দাড়িয়া (৫০) সহ অন্তত ১০ জন পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।
হাসপাতাল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মনিরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন সরবরাহ না করায় রোগীদের তারা শুধু ক্ষতস্থান পরিস্কার করে অবস্থা বুঝে ব্যথানাশক ও এন্টিবায়োটিক ঔষধ দিতে পারছি। কিন্তু স্থায়ী চিকিৎসার জন্য প্রত্যেক রোগীর ভ্যাকসিন নেয়া আবশ্যক। কারণ একবার জলাতঙ্ক দেখা দিলে সেই রোগীর মৃত্যু অবধারিত। সরকারের নীতিমালায় না থাকায় উপজেলা হাসপাতালগুলোতে সরকারীভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেনা। এখন ফার্মেসীতে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। অর্থাভাবে গরীব রোগীরা ভ্যাকসিন দিতে না পেরে গ্রামীণ ওঝা-ফকিরের টোটকা চিকিৎসা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকায় অনেক রোগী মারা যাবার ঘটনাও ঘটে থাকে। সরকারীভাবে শুধুমাত্র জেলা সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসে সরকারীভাবে এই টিকা সরবরাহ করে থাকে। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৫:০৮ ● ৪৯৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ