ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের ‘মা’ (খালেদা জিয়া) জেল খানায় মারা যাবেন, আর আমরা বসে বসে দেখবো, তা হতে পারে না। হয় লড়াই করে ‘মা’কে বের করে আনবো, না হয় আমরাও মায়ের কাছে যাবো। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক দল আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে চলে যাবেন, আর আমরা বসে বসে আলোচনা এবং মুক্তির দাবি করবো- এটা হতে পারে না। আমাদের সিদ্ধান্ত হোক- আমরা লড়াই করেই ‘মা’কে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে আনবো। আর না হয় আমরা সবাই মায়ের কাছে চলে যাবো। বিএনপির এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তিনি হাত নাড়াতে পারেন না, পায়ে বল পান না। তিনি কিছু ধরে রাখতে পারেন না। তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আর গত সাড়ে তিন মাসে কেউ তাকে দেখতে যাননি। যিনি নানা রোগে আক্রান্ত, তাকে এভাবে জেলে ফেলে রাখার অর্থ ও উদ্দেশ্যটা কি? মুক্তিযুদ্ধকালীন জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার জবাবে বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় থাককালে তাকে বীরউত্তম খেতাব দেওয়ার কথা তুলে ধরেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তারা যখন জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি চর বলেন, তখন তারা এটা ভুলে যান যে, মানুষটিকে জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ খেতাব বীরউত্তমে ভুষিত করেছিলেন তাদেরই নেতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের একজন চরকে এরকম খেতাব দিতে পারে? এইটুকু বুদ্ধি আমাদের মন্ত্রীদের নাই। তারা যে জিয়াউর রহমানকে অসম্মান করতে গিয়ে তাদের নেতাকে অসম্মান করছেন, এটাও বোঝেন না। তিনি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমালোচনা করে বলেন, এর আগে যিনি তথ্যমন্ত্রী (হাসানুল হক ইনু) ছিলেন, আমি বলেছিলাম, তিনি জিয়া পরিবারের সমালোচনাকারী। এখনকার যিনি, উনিও প্রায় ওরকমই দেখছি। প্রায় প্রতিদিনই তিনি আজে-বাজে কথা বলেন। সেসব কথার অর্থ হয় না। তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা অপবাদ ছড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন নজরুল। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বুদ্ধিমান হিসেবে এই যুদ্ধটা (মুক্তিযুদ্ধ) যাতে জনযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়, সবাই যাতে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, সেজন্য তিনি তার প্রথম ঘোষণা পরিবর্তন করে ‘আওয়ার গ্রেট লিডার’ আমাদের মহান নেতা বলে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের নাম উল্লেখ করে স্বাধীনতার ঘোষণাটা পরিপূর্ণ করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়ার ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশ গঠনে তার নানা পদক্ষেপের কথাও বলেন নজরুল। কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিনের পরিচালনা আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, উলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেসারুল হক বক্তব্য রাখেন।