কলাপাড়ায় ঘরে বসে নেই বিএনপির নেতাকর্মী

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কলাপাড়ায় ঘরে বসে নেই বিএনপির নেতাকর্মী
মঙ্গলবার ● ২৬ মার্চ ২০১৯


---

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দলটির এমন। উল্টো ভোটার কেন্দ্রে যেতে বিমুখ করতে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু দলের এমন নির্দেশনা তৃণমূলে কাজে আসছেনা। সাগরপাড়ের কলাপাড়ার জনপদে বিএনপির তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মী নির্বাচনমুখী। দলীয় প্রার্থী না থাকলেও তারা প্রকাশ্যে অংশ নিচ্ছে প্রচার-প্রচারণায়। রয়েছে নির্বাচনমুখর পরিবেশে। বহু নেতা-কর্মী কোন কোন প্রার্থীর নির্বাচনী কর্মকান্ডের নেতৃত্ব পর্যন্ত দিচ্ছেন। অনেক নেতাকর্মী আবার বিএনপির পদ-পদবী ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে পর্যন্ত নির্বাচনী আমেজে রয়েছেন। এক লাখ ৭২ হাজার ২৫৯ জন ভোটার অধ্যুষিত কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচনে ১২ টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভায় এখন চলছে বিরামহীন প্রচার। আগামি ৩১ মার্চ এখানকার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন তৃণমূলের পছন্দে শীর্ষে থাকা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান। আজীবন আওয়ামী লীগের হাল টানা এ মুক্তিযোদ্ধা তার নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। তবে লড়াই হাল্কা হচ্ছে না বিদ্রোহী প্রার্থী কৃষকলীগ জেলা কমিটির সদস্য সৈয়দ আক্তারুজ্জামান কোক্কা মাঠে থাকায়। তিনি মাঠ কাপাচ্ছেন আনারশ প্রতীক নিয়ে। দিনরাত চলছে তারও নির্বাচনী প্রচার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পুরুষ) লড়ছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের নেতা মোস্তফা কামাল। তার প্রতীক চশমা। আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পোড় খাওয়া নেতা শফিকুল আলম বাবুল খান লড়ছেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে। আরেক প্রতিদ্বন্ধী রয়েছে তালা প্রতীক নিয়ে মো. নিজাম উদ্দিন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান শানু সিকদারের মেয়ে মহিলা লীগের নেত্রী উম্মে তামিমা বিথি। তার প্রতীক ফুটবল। প্রতিদ্বন্ধীতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সাংসদ মরহুম আনোয়ার-উল-ইসলামের মেয়ে শাহীনা পারভীন সীমা। তিনি লড়ছেন হাস প্রতীক নিয়ে। লড়ছেন আরেক প্রতিদ্বন্ধী লাইজু হেলেন লাকী। তার প্রতীক কলস। মোট কথা চেয়ারম্যান পদে দুই জনসহ মোট আটজন প্রার্থীর ভোটযুদ্ধে কলাপাড়া এখন মুখরিত রয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়লেও বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঘরে বসে নেই। তারাও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেধে মাঠে রয়েছেন। উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সেখানে উপেক্ষিত রয়েছে বলে দেখা গেছে। অনেকে আবার আওয়ামী প্রার্থীর বিপক্ষে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। মোট কথা দলটির (বিএনপির) কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কোন কাজে আসছেনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১০:০০ ● ৩৯৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ