কলাপাড়ায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মৌলভীতবক বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কলাপাড়ায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মৌলভীতবক বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
রবিবার ● ২৪ মার্চ ২০১৯


---

পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের মৌলভীতবক বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ছোট মাঠে সকল ধর্মের বানী পাঠ, জাতীয় সংগীতের সুরের মুর্ছনায়। দেশ ও জাতি গঠনে অবদান রাখাসহ নিজেকে একজন সুস্থ ধারার নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার শপথ নেয়। এভাবেই প্রতিদিন বিদ্যালয় মাঠের শাররীক চর্চা শেষে শিক্ষার্থীরা ফিরে যায় টিনশেড ঘরের সুসজ্জিত শ্রেনী কক্ষ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন প্রজন্মকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে শিক্ষানুরাগী সুলতান আহমেদ ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মৌলভীতবক বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটি টিনশেড ঘরে চারজন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয় বিদ্যালয়ের পাঠদান। শুরুর দিকে তেমন শিক্ষার্থী ছিলনা। পরিচালনা পর্ষদসহ শিক্ষক-শিক্ষাকাদের অক্লান্ত শ্রমে বছর ঘুরতেই বেড়ে যায় শিক্ষার্থী। এখন বিদ্যালয়টি শুধু পাঠদান কেন্দ্র নয়, হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী বান্ধব আনন্দ বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে। শ্রেনী কক্ষের সাজানো শিশু বান্ধব পরিবেশে চলে পাঠদান। শিশু শ্রেনীতে পাঠদানে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিশুদের রাখেন খেলায় মশগুল। এরমধ্যেই চলে বাংলা-ইংরেজী বর্নমালা, গননা ও ছড়া-কবিতা শেখানো।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সোহেল ও রনি জানায়, স্কুলের সামনে খেলার মাঠ আছে। লেইজারের সময় আমরা সবাই মিলে খেলাধুলা করি। একই শ্রেনীর ফরজানা ও তন্নিমা জানায়, স্যারেরা খুব ¯েœহ করে আমাদের। আপারা আমাদের গান শিখায়, কবিতা অবৃতি শিখায়। আমাদের সাথে মাঠে খেলাধুলা করে।
সহকারী শিক্ষক একেএম শহীদুল ইসলাম জানান, প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে টিফিন বক্স, স্কুল ব্যাগ বিতরনসহ স্কুলের জন্য বিভিন্ন খেলার সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টাকায় এসব সামগ্রী দেয়া হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকতে রাজী নয় কোন শিক্ষার্থী। বাড়ীর চেয়ে বিদ্যালয় এখন তাদের প্রিয়। সহকারী শিক্ষিকা সীমা রানী ওঝা বলেন, প্রতি বছর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আহমেদ বলেন, শিশুশ্রমসহ বাল্য বিয়ের মত সমাজিক ব্যাধিতে আচ্ছন্ন ছিল এ জনপদের অধিকাংশ মানুষ। তাদেরকে শিক্ষামুখী করাসহ অপসামজিকতা দুর করতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আল মামুন বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর চারজন শিক্ষক বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেছি। বর্তমানে ৮৬ জন শিক্ষার্থীর নিয়মিত উপস্থিতি রয়েছে। টিনশেড ঘরের ছোট কক্ষে দুই শিফটের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যালয়টি সরকারীকরন করাসহ  একটি ভবন হলে পাঠদানে সুবিধা হত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৬:৫৮ ● ৫০৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ