ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকার ‘খোয়াব’ দেখছেন বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত বাকশাল থাকলে নির্বাচন নিয়ে কোনো বির্তক থাকত না, প্রশ্ন উঠত না। বাকশাল ছিল সর্বোত্তম পন্থা।
“প্রধানমন্ত্রীর কথায় প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিনাভোটে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আজীবন ক্ষমতায় থাকার খোয়াব দেখছেন শেখ হাসিনা। তিনি আগে-ভাগে জানিয়ে দেন তিনি কি করতে চাচ্ছেন।”
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, “বাকশালের ভোট কোথায়? বাকশাল মানে তো একদলীয় ব্যবস্থা। তার মানে আওয়ামী সরকার ও তার যে প্রধান জনগণকে একেবারে বেকুব, একেবারে বোকা মনে করে। উনি মনে করেন, তার অবৈধ ক্ষমতার জোরে যা ইচ্ছে বলবেন, সেটাই মানুষ বিশ্বাস করবে। অথচ মানুষ এত বেকুব নয়। মানুষ যদি বোকা হত তাহলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদের দুই দফা নির্বাচনে ভোট দিতে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যেত। খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে পরিণতি শুভ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে একটি মামলায় হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয় মহাসচিব মির্জা ফখরুলের। পরে এক কর্মসূচিতে ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আরও বেড়েছে। কারাবন্দি তাদের নেত্রীকে সরকার ‘পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
রিজভী বলেন, চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ ৭৪ বছরের একজন নারী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রহসনমূলক বিচারের জন্য কারাগারে স্থাপিত মিডনাইট ইলেকশনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু আদালতে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় প্রতিদিনই হাজির করা হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে অভিমান, ক্ষোভ ও বিদ্রোহে জনগণ অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে। যেকোনো সময় জনতার বিস্ফোরণ শুরু হবে-যা কল্পনাও করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/কেএস