ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
নিজ উদ্যোগে ডাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী আট শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে প্রাধ্যক্ষ কমিটির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক শিক্ষকরা। বুধবার সাদা দলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভায় আট শিক্ষকের শাস্তি দাবি করায় তারা ‘বিস্মিত, হতবাক ও ক্ষুব্ধ’। তিন দশক পর গত ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন হয়। এতে ভোটগ্রহণ হয় হলগুলোতে। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ প্যানেল ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোটের দাবি তুলেছে। তারা নানা কর্মসূচিও পালন করছে। স্বউদ্যোগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ার কথা জানিয়ে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরামর্শ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার প্রাধ্যক্ষ কমিটির এক সভায় আটজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উপাচার্যকে জানান হলগুলোর প্রাধ্যক্ষরা।
সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক দাবির তীব্র নিন্দা ও জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আট শিক্ষকের পর্যবেক্ষণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “গত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনে যেসব অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে, তার প্রত্যেকটি অভিযোগ সত্য। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও গণমাধ্যমেও এসব অনিয়মের কথা উঠে এসেছে।
সাদা দলের পক্ষ থেকেও ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানোর কথা বলা হয় বিবৃতিতে। আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখলাম যে কর্তৃপক্ষ এ নির্বাচনে অনিয়মের সাথে জড়িতদের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উল্টো এ নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়ম কারচুপির ব্যাপারে যারা কথা বলেছেন, সোচ্চার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রভোস্ট কমিটি থেকে শাস্তির দাবি করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের হাস্যকর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য প্রভোস্ট কমিটির সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছি। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, অধ্যাপক আ কা ফিরোজ আহমদ প্রমুখ।
এফএন/কেএস