সাগরকন্যা ডেস্ক॥
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সোমবার ১৫ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় এসব উপজেলার ৭ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। এরপর শুরু হয় ভোট গনণা। এসব নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন। নির্বাচনী এলাকায় সোমবার ছিল সাধারণ ছুটি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বর্জনে প্রথম ধাপের মত দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও নির্বাচনের উত্তাপ ছিলো না। এই ধাপের ১২৯ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হলেও পরবর্তী ধাপে স্থানান্তর, আদালতের আদেশে স্থগিত হওয়া এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় ১৩ উপজেলা সোমবার ভোট হয়নি। এই ধাপে ২৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৩ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১২ উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পাবনা সদর, ফরিদপুর সদর, নওগাঁ সদর, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও রাউজান এবং নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় কোনো পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই, ফলে ভোট করারও প্রয়োজন হয়নি। এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৪৮ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
এছাড়া ৬ উপজেলার ভোট পিছিয়েছে এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। ভোটের নিরাপত্তায় নিয়মিত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে খাগড়াছড়ির ৮ উপজেলা, বান্দরবানের ৭ উপজেলা ও রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় সেনা সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় ধাপে রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও, রংপুর, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার সব উপজেলা, রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, সদর উপজেলা ছাড়া নওগাঁর সব উপজেলা ও পাবনা জেলার সদর ছাড়া সব উপজেলায় ভোট হয় সোমবার। সিলেট বিভাগের সিলেট ও মৌলভীবাজারের সব উপজেলা এবং ফরিদপুর জেলার সদর ছাড়া সব উপজেলায় এদিন ভোট হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর চট্টগ্রামের সব উপজেলা (সীতাকু-, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী), রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সব উপজেলা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার উপজেলার ভোট হচ্ছে পাঁচ ধাপে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ভোট শেষ হয়েছে ১০ মার্চ। নানা অনিয়মের কারণে সেদিন ২৮টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়; গ্রেফতার করা হয় অন্তত তিনজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে। তারপরও প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণকে ‘মোটামুটি শান্তিপূর্ণ’ বলেছে নির্বাচন কমিশন। দলীয় প্রতীকে এই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের বর্জনের কারণে প্রথম দফার ভোটে লড়াইয়ের আমেজ দেখা যায়নি। সেদিন ভোট পড়ে ৪৩ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় প্রথম ধাপে ২৮ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের উপজেলাগুলোতে হবে ভোট। পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।