ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলার ভোটগ্রহণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ছিল বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোমবার দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় ৭ হাজার ৩৯ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।

ভোটগ্রহণ শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় ধাপে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। অনিয়ম ও ত্রুটির কারণে আটটি কেন্দ্রের ভোট সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা স্থগিত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাকি সবখানে কোনো অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়নি। বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে ‘জৌলুস’ হারানো এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল ৪৩ শতাংশ। তবে দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার বেশি হবে বলে মনে করেন ইসি সচিব। এ ধাপে অধিকাংশ এলাকায় ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক ছিল বলে তথ্য পেয়েছি। কোথাও কোথাও কম উপস্থিতি ছিল। তবে সব মিলিয়ে প্রথম ধাপের চেয়ে বেশি ভোটের হার হবে আশা করি।

এদিকে, উপজেলা ভোটকে সামনে রেখে সোমবার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, এককভাবে মাহবুব তালুকদার এ বক্তব্য দিয়েছেন, কমিশনে আলোচনা হয়নি। এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তিনি বলেন, যা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, তা নির্বাচন হয় কী করে? স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সংস্কার করে ইসির হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার। এবার উপজেলার ভোট হচ্ছে পাঁচ ধাপে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ভোট শেষ হয় ১০ মার্চ। নানা অনিয়মের কারণে সেদিন ২৮টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়; গ্রেফতার করা হয় অন্তত তিনজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণকে ‘মোটামুটি শান্তিপূর্ণ‘ বলেছিল ইসি। দলীয় প্রতীকে এই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলেও বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের বর্জনের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় প্রথম ধাপে ২৮ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ৪৮ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের উপজেলাগুলোতে হবে ভোট। পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।

এফএন/কেএস