শহীদ কন্যার জানাজায় রিজভী আহম্মদ বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হলে এমনটি হতো না

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » শহীদ কন্যার জানাজায় রিজভী আহম্মদ বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হলে এমনটি হতো না
রবিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৫


শহীদ কন্যার জানাজায় রিজভী আহম্মদ

দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, দেশে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হলে এমনটি হতো না। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দ্রুততম সময়ে ধর্ষণকারীদের বিচার করতে হবে, যেন অন্য অপরাধীদের হৃৎকম্পন হয়।
গতকাল রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া মাদ্রাসা মাঠে আলগি গ্রামের জুলাই গণঅভ্যত্থানে শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে আত্মহননকারী কলেজছাত্রী লামিয়ার জানাজার পূর্ব বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার শহীদ কন্যা লামিয়ার মরদেহ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে দুপুরে সড়ক পথে দুমকি উপজেলার আলগি গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স গ্রামের বাড়িতে পৌছলে স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে শহীদ পিতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। লামিয়ার জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কাবির রিজভী, এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ   আরেফিন,  দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো: ইজাজুল হক, দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির এ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান “আমরা বিএনপি পরিবার”  - এর আহবায়ক,  আতিকুর রহমান রুমন,  সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ্  আল নাহিয়ান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম মৃধাসহ কেন্দ্রী, জেলা ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষনেতৃবৃন্দসহ হাজারো মানুষের ঢল নামে। জানাজায় অংশ নেয়া এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় লামিয়ার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় শহীদ কন্যা কলেজছাত্রী লামিয়া (১৭) নিজ বাড়ি থেকে পাশের গ্রামে নানা যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পরের দিন ১৯ মার্চ লামিয়া নিজেই বাদি হয়ে অভিযুক্তদের ২জনকে আসামি করে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আসামিদ্বয় এখনও কারাগারে আছে। এঘটনায় লোকলজ্জা ও সামাজিক নানা চাপে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে মায়ের সাথে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার শেখেরটেকে ভাড়া বাসায় চলে যান। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে। গতকাল রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্নের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলে সড়ক পথে দুমকি উপজেলার নিজ গ্রাম আলগির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

 

 

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১২:৫২ ● ১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ