গৌরনদীতে ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, ছোট ভাবি গ্রেফতার
প্রথম পাতা »
বরিশাল »
গৌরনদীতে ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, ছোট ভাবি গ্রেফতার

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরিশালের গৌরনদীতে সহোদর ছোট ভাই ও ভাবির হামলায় বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন ফকির (৫৫) খুনের অভিযোগে ছোট ভাই ও ভাবিকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- ছোট দেবর জাহাঙ্গীর হোসেন ফকির (৫০) ও ভাবি (জাহাঙ্গীরের স্ত্রী) সুমী আক্তার ওরফে সুরমা বেগম (৪২)। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেরার বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের নিহত দেলোয়ারের স্ত্রী সাথী বেগম (৫০) বাদি হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলার আসামি সুরমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বাদিনী এজাহারে উল্লেখ করেন, বসত বাড়িতে প্রবেশের পথের জমি নিয়ে বাদির স্বামী দেলোয়ার হোসেন ফকিরের সঙ্গে ছোট দেবর জাহাঙ্গীর হোসেন ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ছোট দেবর জাহাঙ্গীর গরু’র একটি বাছুর ছেঁড়ে দিলে বাছুরটি বাদির বেঁধে রাখা একটি বাছুরকে গুঁতাগুতি (মারামারি) করে। এ নিয়ে বাদি ও বাদির স্বামীর সঙ্গে আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন ফকির, জ্যা (জাহাঙ্গীরের স্ত্রী) সুরমা বেগমের বাকবিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার স্ত্রী সুরমা বেগম মিলে বাদির স্বামীর (দেলোয়ার) ওপর হামলা চালায়। এ সময় ওই ২ আসামি স্বামী দেলোয়ারের গলা টিপে ধরে ও কিলঘুষি মারে। এতে স্বামী দেলোয়ার গুরুতর আহত হয়ে একাধিকবার বমি করে ঘটনাস্থলেই স্বামী (দেলোয়ার) মারা যায়।
গৌরনদী থানায় ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত দেলোয়ার হোসেন ফকিরের মরদেহ উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়। ময়না তদন্তের জন্য দেলোয়ারের মরদেহ রোববার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরাতহাল রিপোর্টে লাশের গলায় ২টি দাগের চিহ্ন রয়েছে। দেলোয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত (হার্টের রোগী) ছিলেন। আপন ছোট ভাই ও ভাবির হামলায় বড় ভাই দেলোয়ার খুনের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাথী বেগম বাদি হয়ে দেবর ও ভাবিকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামি নিহতের সহোদর ছোট ভাইি জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সুরমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুরমা বেগমকে রোববার বিকালে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানান।
দেলোয়ার হত্যা মামলার প্রধান আসামি সহোদর ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাই দেলোয়ার হোসেন ফকির ইতিপূর্বে একবার স্ট্রোক করেছিল। সে হার্টের রোগী বিধায় বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে সে (দেলোয়ার) মারা যায়। বড় ভাইয়ের ওপর কেউ হামলা করে নাই।
এএসআর/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২০:০০:৩৪ ●
৩৬ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)