আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালী-আমতলী মহাসড়কের ঘটখালী নামক স্থানে কুয়াকাটাগামী সাকুরা পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে ৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৮৫৬৭) শনিবার সকাল সাতটার দিকে পটুয়াখালী-আমতলী মহাসড়কের ঘটখালী নামক স্থানে মোড় ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে দুমড়ে মুড়ছে যায়। এতে গাড়ীতে থাকা নারী শিশুসহ ৩৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন গাড়ী কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। গুরুতর আহত লিটন দে (৩৫), মশিউর (২১), মামুনি (৪৫), রিপন (৪০), আমেনা বেগম (৬০), মাসুদ(৩৬), জবেদ আলী (৫০), নাহিদ (৭), নাজমা (৩৫), জান্নাতি (৩), মোস্তফা মুসুল্লী (৪০), লাভলী (৩০), জাহানারা (৪৫), সাইদুল ইসলাম (৪৫), হোসনেয়ারা (৩৫), তাসনিয়া (৩), আসমা (৩৫), ইউনুস (৬), সোনাই (৬০), আবজাল (২৪) ও জান্নাতিকে (৪০) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মামার্নি, আমেনা বেগম, জবেদ আলী,নাহিদ, লাভলীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলহাজ হারুন অর রশিদ বলেন, গুরুতর আহত ২১ জনের মধ্যে ৫ জনকে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী গাড়ীর যাত্রী আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাইদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম জানান, শিশু পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে কুয়াকাটা ভ্রমনের জন্য যাচ্ছিলাম। দ্রুত গতির সাকুরা পরিবহনের এ বাসটি মোড় ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে ওই গাড়ীতে থাকা সকল যাত্রী গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে। পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করায় কোন মানুষ নিহত হয়নি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, খবর পেয়ে দ্রত পুলিশ, দমকল বাহিনীর লোকজন স্থানীদের সহযোগীতায় গাড়ী কেটে সকল যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তিনি আরো বলেন, দ্রুত উদ্ধার কাজ করতে না পারলে অনেক যাত্রী নিহত হওয়ার সম্ভবনা ছিল।