গৌরনদীতে হাটের দরপত্র দাখিলের হামলায় আহত-৪

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে হাটের দরপত্র দাখিলের হামলায় আহত-৪
বৃহস্পতিবার ● ৬ মার্চ ২০২৫


গৌরনদীতে হাটের দরপত্র দাখিলের হামলায় আহত-৪

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার শরিকল হাটের ইজারার দরপত্র দাখিল করায় শরিকল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা (উত্তর) বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মঞ্জুর হোসেন মিলনকে লাঞ্ছিত ও তার চার সমর্থককে মারধর করা   করার অভিযোগ উঠেছে পৌর যুবদলের কতিপয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে গৌরনদী উপজেলা পরিষদের সামনে  এ হামলার ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানাগেছে, উপজেলার ভূরঘাটা হাট, বাকাই হাট,  বার্থী হাট, মাহিলাড়া হাট, চাঁদশী হাট, শরিকল হাটসহ ২১টি হাট বাজার  ইজারার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি দরপত্র  (টেন্ডার) আহ্বান করেন ইউএনও।    গত ৫ মার্চ হাট বাজারের দরপত্র ফরম বিক্রির শেষদিন ও ৬ মার্চ দরপত্র দাখিলের দিন ধার্য্য্য ছিল। ২১টি হাট বাজারের অনুকূলে ৬৬টি দরপত্র ফরম বিক্রি হয়েছে।
শরিকল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য মঞ্জুর হোসেন মিলন বলেন, গৌরনদীর শরিকল ও বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরা শরিকল হাটের ইজারার জন্য ১৪টি দরপত্র ফরম  খরিদ করেন। সম্প্রতি দরপত্র ফরম ক্রেতারা এক বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে আমার কাছে ১৩টি দরপত্র ফরম জমা দেয়। এরপর সিদ্ধান্ত নেয় যে, গত বছরে ইজারাকৃত ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকায় এ বছর ইজারা পাওয়ার জন্য দরপত্র দাখিল করার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। আমি ২০/২৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে ইউএনও অফিসে দরপত্র দাখিল করতে যাই। তিনি  (মিলন) অভিযোগ করে বলেন,  উপজেলার  পরিষদের সামনে গেলে উপজেলা বিএনপির  প্রভাবশালী এক নেতা আমাকে ও সিডিউল ক্রেতাদের দরপত্র দাখিল করতে বারন করে বলেন, সিডিউল ক্রেতাদের উপজেলার কোন হাট বাজারে সিডিউল দাখিল করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোন সিডিউল ক্রেতা পরপর তিনবার  সিডিউল দাখিল না করলে হাট বাজারের ইজারা এসিল্যান্ডের নির্দেশে ইউনিয়ন তহশীলদার খাস কালেকশন করবেন। ওই নেতার কথায় সিডিউল ক্রেতারা রাজি না হলে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার নামের একটি দরপত্র ফরম ইউএনও অফিসে জমা দেই ও বাবুল হাওলাদার একটি দরপত্র ফরম ডিসি অফিসে  জমা দেয়। ইউএনও অফিসে দরপত্র ফরম জমা দিয়ে বের হলে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বাচ্চু শিকদারের নেতুত্বে যুবদলের ২০/২৫ নেতাকর্মী আমার উপর চড়াও হয়। এ সময় আমি জহুরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করি। এ সময় যুবদল নেতা বাচ্চু শিকদারের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমার সমথর্ক শরিকল  ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক শামীম ফকির, যুবদল কর্মী পলাশ খান, কবির হাওলাদার, সোহাগ বেপারীকে মারধর করে।
পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বাচ্চু শিকদার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে, একটি মহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু আব্দুল্ল্হ্ াখান বলেন, উপজেলার ২১টি হাট বাজারের ইজারার  অনুকূলে ৬৬টি সিডিউল ফরম বিক্রি হয়েছে। এ মধ্যে মাত্র ৫টি সিডিউল ফরম জমা পড়েছে।  বাকি সিডিউল ফরম জমা না পড়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। উপজেলা পরিষদ ভবরের বাহিরে কি হয়েছে তা আমার জনা নেই। তবে একটু  হইচৈর শব্দ পেয়েছি।

 

এএসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৬:১০ ● ৪৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ