
ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
সুনামগঞ্জের ছাতকের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম যোগদানের মাত্র চার মাসের মধ্যেই কর্মগুণে মানবিক ও সৎ উপজেলা কর্মকর্তা হিসেবেও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার দক্ষতায় উপজেলায় হাটবাজার ইজারাসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বেড়েছে দ্বিগুণ। অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনেকগুলো দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নিজের অফিসের পাশাপাশি সৎতার সহিত পৌরসভাও সামাল দিচ্ছেন তিনি। অফিস সময়ের পরেও শান্তশিষ্ট মনভাব নিয়ে উপজেলাবাসিকে হাসি মুখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার কার্যক্রমের সার্বিক চিত্র।
উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, হাট বাজার ইজারা মূল্য দ্বিগুন করে প্রায় ৪ কোটি টাকার রাজস্ব বাড়িয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। পিআইসি, কাবিটা, কাবিখা, টিআর, এডিপিসহ সকল বরাদ্দের তালিকা ও তথ্য ওয়েবসাইট প্রকাশ করায় তদারকি করতে পারছেন সাংবাদিকরা ও সাধারণ জনগণ। জনসেবায় তাঁর নিষ্ঠা ও উদ্যোগের কারণে উপজেলায় ইতোমধ্যেই পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে, যা প্রশংসার দাবিদার।
একজন দেশপ্রেমিক, চৌকস, দক্ষ, নিরহংকারী, বিনয়ী ও সদালাপী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে ছাতকের ইতিহাসে চির স্বরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম। গত বছরের ১১ নভেম্বর যোগদান যোগদানের পর থেকেই বিভিন্নভাবে স্থানীয়দের দুর্নীতি, অনিয়ম ও দালাল মুক্ত সেবা প্রদান করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। স্থানীয় জনগণের কল্যাণে সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে নানাবিধ প্রতিকূলতা পেরিয়ে একের পর এক সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। একই সঙ্গে তিনি উপজেলা প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার অঙ্গীকারে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নেও দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালস ভাবে কাজ করছেন। পাশাপাশি উপজেলায় খেলারমাঠ, পাবলিক টয়লেট, যাত্রী চাউনি, মিলনায়তন ও পাবলিক লাইব্রেরি নির্মানের উদ্দোগ গ্রহণ করেছেন। সরকারি খাস জমি উদ্ধার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন, অবৈধ ফুটপাতরণ, সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। এছাড়াও তিনি উপজেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতেও কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে উপস্থিতির পাশাপাশি তিনি প্রায়ই বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনাক্রমে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইংরেজি শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে পৌরসভার উদ্দ্যোগে প্রায় ২৭ বছর পর মেধা বৃক্তি পরীক্ষা চালু করেছেন। তিনি উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সাধারন মানুষকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা সহ শিক্ষা প্রতিষ্টান, মসজিদ মাদ্রাসায়ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে গভীর নলকুপ স্থাপনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন। মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে এজন্য তিনি গত শুত্রুবার সকাল থেকে নিয়মিত জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে যাচ্ছেন। তার এমন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরাসহ নানান পেশার মানুষ।
নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি সর্বদা নিয়ম মেনে পালন করে যাচ্ছি। অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করিনি আর করবো না। আমি শুধু দায়িত্বের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এএমএল/এমআর