
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদের গুয়ারেখা ইউনিয়নে চাঁদাবাজির অভিযোগে মো. সোহেল মোল্লা(২৭), মো. রুবেল সিকদার ওরফে শাকিল(২৮), মো. আরিফ ফকির(২৬) নামে তিন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ইউনিয়নের বিশাল গ্রামের বিনত রায়ের ছেলে বিজন রায় বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। আসামীরা উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের চিহ্নিত চাঁদাবাজ বলে পরিচিত।
মামলার আসামীরা উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের পাটিকেলবাড়ী গ্রামের আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আঃ কুদ্দুস সিকদারের ছেলে মো. রুবেল সিকদার ওরফে শাকিল এবং একই এলাকার ইদ্রিস আলী ফকিরের ছেলে মো. আরিফ ফকির ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর রাতে আসামীরা মামলার বাদী বিজন রায়ের ছেলেকে জিম্মি করে তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিজন রায়ের ছেলে জয় রায় তার প্রাণ রক্ষায় আসামীদের চাহিদানুযায়ী চাঁদা দিয়েছেন।
মামলার আসামী মো. সোহেল মোল্লা, মো. রুবেল সিকদার ওরফে শাকিল, মো. আরিফ ফকির গুয়ারেখা ইউনিয়নের সর্বজনে চাঁদাবাজ বলে পরিচিত। তারা এলাকায় নিরিহ সাধারন মানুষদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াত। গত ৫ই আগষ্টের পর থেকে ওই তিন যুবক এলাকায় বিস্তর অপরাধ করে বেড়ানো শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ নভেম্বর রাতে মামলার বাদী বিজনের ছেলে জয় রায় তাদের দোকান বন্ধ করিয়া বাড়ীতে যাওয়ার সময় স্থাণীয় করফা বাজারে পাকা ব্রিজের উপর পৌছিলে আসামীরা বিজনের ছেলের পথ রোধ করিয়া তার সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সর্ম্পকের সূত্র ধরে ছেলেকে আটকিয়ে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রথমে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামীরা বিজনের ছেলেকে বেধম মারধর করে। পরে ছেলের জীবন বাঁচাতে তাদেরকে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনে। এ ঘটনায় আসামীদের ভয়ে তিনি প্রথমে থানায় মামলা করতে সাহস পাননি।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সোহেল মোল্লা, রুবেল মোল্লা ওরফে শাকিল সিকদার, আরিফ ফকির নীরব চাঁদাবাজি শুরু করে। হিন্দু অধ্যাশিত এলাকা হওয়ায় কেহ তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতনা। অভিযুক্ত চাঁদাবাজরা ব্যবসায়ি থেকে শুরু করে এলাকার অবস্থাপন্ন পরিবারের স্কুল ও কলেজ ছাত্রদের সামন্য দোষ ত্রুটি খুজে বেড় করে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের চাদা হাতিয়ে নিত। ওই চাঁদাবাজদের নেতৃত্বে এলাকায় মাদকের রমরমা বানিজ্য চলছে।
মামলার বাদী বিজন রায় বলেন, তার ছেলের সাথে এলাকার একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে। সোহেল,আরিফ,শাকিল সেই অপরাধ ধরে তার ছেলেকে ধরে বেধম মারধর করে। একপর্যায়ে ছেলেকে বাঁচাতে তার কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিজন তাদের ভয়ে দুই মাসেও থানায় যেতে পারিনি। এলাকায় নেছারাবাদ থানার ওপেন হাউসডে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার এসেছিল। সেই অনুষ্ঠানে বসে সাহস করে তাদের কথা বলেছি। পুলিশ সুপার সাহেবের নির্দেশে ওসি সাহেব মামলা নিয়েছেন।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বনি আমিন জানান, মাদক,সন্ত্রাস,ইভটিজিং চাঁদাবাজির ব্যাপারে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। মামলার বাদী অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে।
আরএ/এমআর