চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
১৮ বছর আগের হাঁস মুরগী নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শ্যামল চন্দ্র দাস নামের এক প্রভাষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতেই ক্ষ্যান্ত হননি হামলাকারীরা সংখ্যলঘু পরিবারের মধ্যে আতংক ছড়াতে গভীর রাতে বসত ঘর সংলগ্ন খড়ের গাদায় আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ও রাতে উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এমন নির্মম ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক নীলিমা জ্যাকব কলেজের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এবং ওই গ্রামের বাসিন্ধা সুর্দণ চন্দ্র দাসের ছেলে।
এঘটনায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্ত চেয়ে শুক্রবার চরফ্যাশন থানায় সাধারন ডায়েরী করেছনে ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক।
ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, ২০০৭ সনে তার প্রতিবেশী বিএনপি কর্মী আকতার হোসেন পরিবারের সাথে হাঁস মুরগীতে ফলস নষ্ট করা নিয়ে তার পরিবারের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। দির্ঘ ১৮ বছর পর বিএনপি কর্মী আকতার হোসেন ও তার পরিবার ওই দ্বন্দকে পুশে রেখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি কলেজে যাওয়ার পথে বিএনপি কর্মী আকতার দলবল নিয়ে তার ওপর আর্তকিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার ওপর হামলার ঘটনায় তিনি চরফ্যাশন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হন বিএনপি কর্মী আকতারসহ তার দলবল। তাদের পরিবারের মধ্যে আতংক ছড়াতে গভীর রাতে তাদের বসত ঘর সংলগ্ন খড়ের খাদায় আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তারা আতংকিত হয়ে ডাক চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। এতে আতংকিত হয়ে পরেছে ওই গ্রামের সংখ্যালুঘু পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরোও জানান, ২০০১ সনে বিএনপি সরকার গঠনের পর সংখ্যালঘু প্রিয়বালার বাড়িতে হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা। ওই হামলায় হত্যার শিকার হন প্রিয়বালা নামের এক সংখ্যালুঘু নারী। ওই মামলার আসামী ছিলেন বিএনপি কর্মী আকতার হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরই আকতার হোসেন ফের সক্রিয় হয়ে উঠেন । জিন্নাগড় ইউনিয়নের দাসকান্দি এলাকায় নানান ভাবে সংখ্যলঘু পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন ওই বিএনপি কর্মী আকতার হোসেন। ১৮ বছর আগের ঘটনাকে পুষে রেখে তার ওপর হামলা ও রাতের আধাঁরে খড়ের গাদায় আগুন দেয়ায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে তার গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে।
এবিষেয়ে বিএনপি কর্মী আকতার হোসেন জানান, ওই পরিবারে সাথে আমার বিরোধ আছে। এনিয়ে তর্ক হয়েছে। খড়ের গাদায় কে বা কাহারা আগুন দিয়েছে তার আমার জনা নেই।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলা ও খড়ের গাদায় আগুন দেয়ার ঘটনায় শুক্রবার রাতে একটি জিডি নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ/এমআর