নেছারাবাদে ডায়াগনষ্টিকের ভুল রিপোর্টে পা গেল স্কুলছাত্রের!
প্রথম পাতা »
পিরোজপুর »
নেছারাবাদে ডায়াগনষ্টিকের ভুল রিপোর্টে পা গেল স্কুলছাত্রের!
শুক্রবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদের হেলথ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভূল রিপোর্টের কারণে মো. জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামে স্কুল ছাত্রের পা হারানোর অভিযোগ উঠেছে। জিহাদ স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল ছাত্রের সহপাঠীরা ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ঘেরাও করে। পরে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি বন্ধ ঘোষনা করা হয়। জিহাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম মিলন মিয়ার ছেলে।
জিহাদের পিতা মো. আমিনুল ইসলাম মিলন অভিযোগ করে বলেন, গত বিশ দিন পুর্বে তার ছেলে মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পান। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডান পায়ের গোড়ালী এক্স-রে করার প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতাল সংলগ্ন হেলথ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নিয়ে গেলে টেকনেশিয়ান পায়ের গোড়ালীর পরিবর্তে হাটুর এক্স-রে করেন। হাসপাতালের ডাক্তার সে রিপোর্ট অনুযায়ী হাটু ব্যান্ডেজ করে দেন। কয়েক দিনের মাথায় তার পায়ে পচন ধরে। অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন ছেলের পায়ের গোড়ালীর রগ ছিড়ে গিয়েছিলো। ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভূল রিপোর্টে ভুল চিকিৎসায় তার পায়ের ভিতর পঁচে গেছে। পরে সেখানকার ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছেলের পা কেটে ফেলেছেন। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
হেলথ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এক পরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, ওই ছেলের কথামত এক্সরে করে দিয়েছি। ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে না করায় আমাদের ভুল হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ডায়গনষ্টিক সেন্টার ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এক্স-রে করলে ছেলেটির এত বড় সমস্যা হতো না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএ/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫১:১৯ ●
৪ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)