স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে যেসব প্রস্তাবনা দিল এনডিএফ

প্রথম পাতা » বরিশাল » স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে যেসব প্রস্তাবনা দিল এনডিএফ
রবিবার ● ১২ জানুয়ারী ২০২৫


স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে যেসব প্রস্তাবনা দিল এনডিএফ

বরিশাল সাগরকন্যা অফিস॥

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। এসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা খুব বেশি কঠিন নয় বলে দাবিও করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আসা সম্ভব। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এই প্রস্তাবনাপত্রটি তৈরী করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে বরিশালে অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন এনডিএফ’র কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও বিএমডিসির কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. আলতাফ উদ্দিন আহমেদ।
প্রস্তাবনা গুলো হলো, চিকিৎসকদেরকে প্রদত্ত কথিত কমিশন প্রথা সম্পূর্নরূপে বিলোপ সাধনে কঠোর  ব্যবস্থা গ্রহণ। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল ও নার্সিং স্টুডেন্টসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকল জনবলের জন্য প্রতিবছর বাধ্যতামূলক নৈতিক এবং ধর্মীয় প্রেরণামূলক প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা গ্রহণ। “স্বাস্থ্য পুলিশিং ব্যবস্থা” এবং “চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন” প্রনয়ণ করা। স্বাস্থ্য বিভাগকে চারটি অধিদপ্তরে ভাগ করা যেমন-  চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর, পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তর।  ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে আরো কার্যকর করা। বিগত সরকারে আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত চিকিৎসকদের ভ’তাপেক্ষ পদোন্নতি প্রদান। রেসিডেন্সি ও ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সময়ে সময়ে নির্ধারিত হারে বৃদ্ধি করা। প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পদসংখ্যা বৃদ্ধি করা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে “হাতুড়ে চিকিৎসা” বন্ধ করা। বিএমডিসিকে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করে পূর্ণকালীন জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বিভাগীয় পর্যায় থেকে পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায় পর্যন্ত স্থায়ী কার্যালয় ও অর্গানোগ্রাম প্রনয়ণ। বিএমএ-কে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা। বিএমডিসি এ্যাক্ট এর ২৯ ধারায় উল্লেখিত “ন্যুনতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রীপ্রাপ্তগন ব্যতিত অন্য কেহ ডাক্তার পদবী ব্যবহার না করার বিষয়টি শতভাগ বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। কেননা “ডাক্তার” বলতে সাধারন জনগন একজন গ্রাজুয়েট এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসককেই বোঝে, কিন্তু হোমিও, আয়ুর্বেদিক, ইউনানি, কবিরাজ, টেকনোলজিস্ট, হাতুড়ে সকলেই নামের আগে অবাধে “ডাক্তার” ব্যবহার করছে যা জনসাধারনের সাথে একটি গুরুতর প্রতারণা। রিট পিটিশন নং ৫৩৫/২০১৯ এর বরাতে মহামান্য হাইকোট রায়ে বলেছেন “একমাত্র এমবিবিএস অথবা বিডিএস পাশ করেছেন এমন ব্যক্তিরাই নামের আগে “ডাক্তার” শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন, অন্য কেহই নয়।  এছাড়াও বেশ কিছু টুকিটাকি পরামর্শ উপস্থাপন করা হয়।

 

 

প্রেসনোট/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৫:৪২ ● ৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ