ফুলবাড়ীতে সরবরাহ বেড়েছে সবজির, কমেছে দাম

প্রথম পাতা » রংপুর » ফুলবাড়ীতে সরবরাহ বেড়েছে সবজির, কমেছে দাম
মঙ্গলবার ● ৭ জানুয়ারী ২০২৫


 

---

অমর গুপ্ত, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারগুলোতে দাম কমেছে শীতকালীন সবজির। ফলন ভালো হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিকেজি সবজি মিলছে ১০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

 

ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, এ বছর সবজির ফলন ভালো হয়েছে। সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে।

সোমবার ফুলবাড়ী পৌর শহরের সবজি বাজার সরেজমিনে ঘুরে মিলছে এমন চিত্র। গত কয়েক দিন ধরে বাজারগুলোতে শীতকালীন, লাল শাক, পালং শাক, পেঁয়াজ শাক, ধনিয়া পাতা, লাউ, লাউ শাক, কুমড়া শাক, বরবটি, গাজর, টমেটো, শালগম, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, কাঁচা মরিচ, বেগুন, করল্লা, মিষ্টি কুমড়ার সরবরাহ বেড়েছে।

 

সবজির মধ্যে প্রতি পিস বাঁধাকপি আকার ভেদে ৭-৮ টাকা ও ফুলকপি ৫-৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ আগেও এর দাম ছিল ১৫ থেকে ২৫ টাকা।

 

বিভিন্ন ধরনের বেগুন ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। মুলা ১০ টাকা কেজিতে আর মিষ্টি কুমড়া মানভেদে ১৫-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শশা প্রতিকেজি মানভেদে ১৫-১৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

 

 

এ ছাড়া কাঁচা মরিচের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। গাজর ৩০-৪৫ টাকা এবং টমেটো ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়।

 

বাজারে সবজি কিনতে আসা আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে সবজির দাম প্রতিবছরই কমে। এ বছর আরো সহজলভ্য হয়েছে। এখন ১০০ টাকার বাজার করলেই ব্যাগ ভরে যাচ্ছে। আগে ৩০০-৪০০ টাকার বাজার করলেও এতগুলো পাওয়া যেত না। সব সবজির দাম কমতে শুরু করছে।’

 

পৌর বাজারে সবজি বিক্রেতা হারুন উর রশীদ বলেন, এ বছর শীতের সবজির ফলন ভালো হয়েছে। আমরাও কম দামে কৃষকদের থেকে নিতে পারছি। এর ফলে অল্প লাভ করেই বিক্রি করতে পারছি। সবজির দাম আরো কমতে পারে।

 

ফুলবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সবজি চাষি লুৎফর রহমান বলেন, তিন বিঘা জমিতে শীতকালীন ফসল বাঁধাকপি, ফুলকপি, শসা, টমেটো, লাউ ও শাক সবজির আবাদ করা হয়েছে। এবছর গত বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠছে না।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, ‘উপজেলায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করেছে। এতে ফলন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৭:২৬ ● ৩০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ