সাগরকন্যা পটুয়াখালী প্রতনিধি॥
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ৯ মাস যুদ্ধ করেছি আমরা। অথচ ভারত আত্মসামর্পণকে দলিলে দেখিয়েছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। কোথাও বাংলাদেশের নাম নেই। আত্মসমর্পণের দিন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীকে উপস্থিত থাকতে দেয়নি ভারত। সেদিন জেনারেল নিয়াজির দাবি ছিল ভারতের কাছে যদি আত্মসমর্পণ করতে হয় তাহলে পাকিস্তানের ৯৩ হাজার যুদ্ধ বন্দিকে ভারতে নিয়ে যেতে হবে এবং জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধবন্ধী হিসেবে আশ্রয় দিতে হবে। ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দী কোথায় থাকবে, কি খাবে এই নিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ভারত তখন বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রাত আটটায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাসেল কবির মুরাদদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবিএম মোশারফ হোসেন আরো বলেন, গত ১৬ বছরে এদেশের গণমাধ্যম সংবাদপত্র ছিল নীরব অবরুদ্ধ। এক ধরনের সরকারি নিয়ন্ত্রণ গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করেছিল। এখন গণমাধ্যম স্বাধীন। দল এবং মত নয়, যারা অন্যায়-দুর্নীতি-অপকর্ম করবে, সমাজে বিশৃঙ্খলা ঘটাবে, তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ লিখবেন। কোন আবেগ অনুভূতিকে প্রশ্রয় দিবেন না।
এবিএম মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, কোথায় কোন সালিশি বাণিজ্য চলবে না। বিএনপি’র সাথে সম্পৃক্ত কেউ যদি সালিশ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি করে তথ্য পেয়ে সাথে সাথেই আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করছি।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাজী হুমায়ুন শিকদার, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান শহীদ মাতুব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার, সেলিম সিকদার তারেক আনাম সুমনসহ উপজেলা পৌর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া রিপোর্টের সিনিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি, এটিএন বাংলা এটিএন নিউজ ও দেশ রূপান্তরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধ জাহিদ রিপন।
মতবনিমিয় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রিপোর্টার ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক ফোরকানুল ইসলাম। প্রধান অতিথিকে ফুললে শুভচ্ছো ও সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।