সাবেক সেনাসদস্য মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জবরদখলের অভিযোগ

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » সাবেক সেনাসদস্য মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জবরদখলের অভিযোগ
মঙ্গলবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪


 

---

সাগরকন্যা কুয়াকাটা অফিস॥

পটুয়াখালীর মহিপুরে কেয়ার টেকারের বিরুদ্ধে ১৪ বছর ধরে সাবেক এক সেনা সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি জবরদখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মালিককে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। জবর দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েও পায়নি। উল্টো মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সাবেক সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান।

 

লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান বলেন, কর্ম সূত্রের পরিবার পরিজনসহ দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করতাম। ঢাকায় বসবাস কালে ২০০৩ সালে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলিপুরে আমার বসতবাড়ির একাংশে রতন ফরাজীকে পরিবারসহ থাকতে দেই। কথা ছিল বাড়ির মালিকের অবর্তমানে দেখভাল করবে। কর্মজীবন শেষে

২০১০ সালে আমি পরিবারসহ আলিপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করি। তখন রতন ফরাজীকে আমার বাড়ি ছেড়ে দেবার কথা বলি।   এরপর জরুরী কাজে ঢাকায় অবস্থানকালে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সহায়তায় বাড়ির একাংশ তারকাটার বেড়া দিয়ে দখলে নেয়। এতে বাধা দিলে আমার সহধর্মিনীকে মারধর করে। উল্টো আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঢাকা থেকে ফিরে মহিপুর থানায় মামলা করতে গেলে তখনকার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুররহমান তালুকদার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঃ বারেক মোল্লা এবং ইউপি সদস্য ইউসুফ এর হস্তক্ষেপে থানা পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা জানায়। তখন আমি বাধ্য হয়ে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।

 

তিনি আরো বলেন, গত ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বাড়ি জবরদখল মুক্ত করতে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করি। পুলিশ একাধিক বার রতন ফরাজিকে মীমাংসার জন্য থানায় ডাকলেও উপস্থিত হয় নাই। পরে রতন ফরাজি দশ লক্ষ টাকা অথবা ১০ শতাংশ জমি দাবি করে। অন্যথায় মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসছে বলে দাবি করেন সাবেক এই সেনা সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান এর ছেলে আইটি ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান বলেন, আমার বাবা একজন সাবেক সেনাসদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তার নিযুক্ত কেয়ার টেকার বাড়ি জবরদখল করে রেখেছে। কোন ধরনের মালিকানা স্বত্ব না থাকলেও ১৪ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছে। আর প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এসেও আমরা কোন আইনী সহায়তা পাচ্ছি না, তাহলে কার কাছে এর প্রতিকার পাবো? এমন প্রশ্ন করেন তিনি। তিনি বলেন বাধ্য হয়ে আমরা আপনাদের গণমাধ্যম কর্মীদের দ্বারস্থ হয়ছি। আমরা এর সুবিচার চাই।

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রতন ফরাজির মুঠো ফোন কল করলে বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

এবিষয়ে মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, সাবেক সেনাসদস্য আবদুল মান্নান এর বিরুদ্ধে রতন ফরাজি বাড়িঘর ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে। প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তার দাবী মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। তারা নিজেরা ঘরবাড়ি ভাংচুর করে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে পুলিশকে হয়রানি করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:০০ ● ৪১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ