গৌরনদীতে শিশুকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার স্বীকারোক্তি!

প্রথম পাতা » বরিশাল » গৌরনদীতে শিশুকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার স্বীকারোক্তি!
রবিবার ● ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪


গৌরনদীতে শিশুকে ধর্ষণ ও শ^াসরোধে হত্যার স্বীকারোক্তি!

গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরিশালের গৌরনদীতে ২য় শ্রেণীর ছাত্রী তাছলিমা আক্তার মাহি (১০)কে ধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায় স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত এক সন্দীগ্ধ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার বিকালে বরিশাল সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৬৪ধারায় আসামি ইসমাইল বেপারী(২৪) শিশুকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর ডোবায় ফেলে দেয়ার লোমহর্ষক বর্ননা দিয়ে সে (ইসমাইল) আদালতে জবানবন্দি দেয়। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত স্কুলছাত্রী তাছলিমার বাবা উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের সবুজ সরদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে গত ২৬ ডিসেম্বর গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমিসহ গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), পরিদর্শক (তদন্ত) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সকালে ও শুক্রবার দিবাগত রাতে গৌরনদী ও উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সন্দীগ্ধ আসামি হিসেবে উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামের হালিম বেপারীর ছেলে ইসমাইল বেপারী (২৪), গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের নজরুল খানের ছেলে সাকিব খান (১৯) ও দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের সিদ্দিক সরদারের ছেলে লিটন সরদার (৩০)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় আসামি ইসমাইল বেপারী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বাীকার করে আদালতে লোমহর্ষক বর্ননা  দিয়েছে। আসামি ইসমাইল আদালতে জবানবন্দি দেয় যে, শিশু তাছলিমাকে প্রথমে পার্শ^বর্তী একটি নির্জন বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ওইদিন রাতেই শিশুকে শ^াসরুদ্ধ করে হত্যার পর তার  লাশ হেলাল সরদারের বাড়ির ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ইসমাইলের জবানবন্দি শেষে আদালতের বিচারক গ্রেফতারকৃত ওই তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম বিস্তারিত আর কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের সবুজ সরদারের মেয়ে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী তাছলিমা আক্তার মাহি (১০) গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে প্রতিবেশী হেলাল সরদারের বাড়ির ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাছলিমার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

এএসআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩২:১৩ ● ১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ