গোপালগঞ্জ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » গোপালগঞ্জ হাসপাতালে দুদকের অভিযান
বৃহস্পতিবার ● ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪


গোপালগঞ্জ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অভিযান চালায়   দুর্নীতি দমন কমিশন  দুদক।
বৃহস্পতিবার সাকালে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ কার্যালয় এ অভিযান চালায়।

দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: মশিউর রহমানের নেতৃত্বে  সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, মো: সোহরাব হোসেন-সোহেল, উপসহকারী পরিচালক আফছার উদ্দিন ও মো: আল- আমিন হোসেন এর সমন্বয়ে গঠিত টিম গোপালগঞ্জ  ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: মশিউর রহমান বলেন, আজ সকাল ৯টা থেকে  ১০.৩০ পর্যন্ত দেড় ঘন্টা  গোপনে রুগী সেজে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের ভিডিও ধারণসহ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।  এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেবা গ্রহীতা ও মিডিয়াসহ আউটডোর টিকিট কাউন্টারে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে টিকিট বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ সময় টিকিট কাউন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায়।  বিপুল পরিমান চিকিৎসা প্রত্যাশি জনগণ উপস্থিত থাকলেও আউটডোরে অধিকাংশ ডাক্তার ও কর্মচারী অনুপস্থিত ছিলেন বিধায় অনেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ডাক্তার বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমআরই, সিটি স্ক্যান মেশিন দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে অচল রয়েছে। একটি সিন্ডেকেট ইচ্ছাকৃতভাবে মেরামত না করে জনগণকে উচ্চ মূল্যে বেসরকারী হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে বাধ্য করছেন মর্মেও জানা যায়। এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এক্স-রে মেশিন এর ফ্লিম না থাকার অযুহাতে দীর্ঘসময় এক্সরে করতে না পারায় সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্টোর রেজিস্ট্রার আপ টু ডেট না রাখার সুযোগে বিভিন্ন অনিয়ম হচ্ছে মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। স্টোরে কম্বল থাকলেও বিতরণ করা হয়নি। শীতের প্রকোপ থাকার পরও স্টোরে রক্ষিত কম্বল বিতরণ না করায় রুগীগন কষ্ট পাচ্ছেন মর্মে দেখা যায়। সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত হাসপাতালের জমাদ্দার সরদার সোহেল শেখ ও অফিস সহায়ক কুদ্দুস গাজীসহ আরও কয়েকজনের সিন্ডিকেট এর সন্ধান পাওয়া গেছে। ৫ হাজার  থেকে ৫০হাজার নিয়ে পুলিশ কেস সংক্রান্ত মেডিকেল সনদ বাণিজ্য হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ তৎক্ষনাৎ কুদ্দুস গাজী স্বীকারও করে নেয়। ইসিজি মেশিন ব্যবহারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা এবং ট্রলি ব্যবহারকারীদের থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবিতেস বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে টিমকে অবহিত করেন।


এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:০৪:৫৯ ● ১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ