দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
৫বছরের সন্তান ফেলে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া সেই ডির্ভোসি স্ত্রী ফের ঘরে ফেরায় বিপাকে পড়েছেন সাবেক স্বামী রেজাউল সিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলগি গ্রামে। এঘটনায় ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ সিকদারের ছেলে রেজাউল সিকদারের সাথে সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামের নজরুল হাওলাদারের কন্যা সুমাইয়া আক্তার সাথী বেগমের (২৪) সাথে ১লক্ষ টাকা দেন মহর ধার্য্যে ২০১৬ সালের ২৮মার্চ পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী রেজাউল সিকদার ঢাকায় কর্মক্ষেত্রে অবস্থানের সুযোগ স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সাথী পরকিয়ায় জড়ায়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে স্বামী সন্তান ফেলে সে পালিয়ে যায় এবং অন্তত: ১৫/২০দিনের গোপণ অভিসার সেরে বাড়িতে আসলে স্বামী রেজাউল সিকদার তাকে (সাথী) বাড়ি থেকে বেড় করে দেন এবং পরের দিন ২৪সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী নোটারি পাবলিক এফিটেভিটের মাধ্যমে সাথীকে তালাক দেন। পরবর্তিতে ২৯নভেম্বর লাউকাঠী ইউপি চেষারম্যানের দপ্তরে সাথীর মা বিউটি বেগম ও দু‘মামা মো: নজরুল ও মো: সরোয়ারের উপস্থিতিতে সমঝোতায় দেনমহড়ের নগদ ১লাখ টাকা প্রদান সাপেক্ষে তালাক কার্যকর করা হয়। দেন মহরের টাকা নেয়ার পর পরই রহস্যজনক কারণে স্বামী-সন্তান ও সংসারের দাবিতে তালাকপ্রাপ্ত সেই স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সাথী বেগম গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সাবেক স্বামি রেজাউল সিকদারের বাড়ি এসে অবস্থান নেয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরকিয়ায় পালানোর কারণে তালাকপ্রাপ্তা নারী নির্লজ্জের মতো ফের স্বামীর বাড়িতে ওঠায় সবাই যেন হতবাক। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাবেক স্বামী রেজাউল সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা। রেজাউল ও তার পরিবারটির অভিযোগ, এলাকার একটি দুস্টচক্র অনৈতিক সুবিধা আদায় ও রেজাউলকে বিপাকে ফেলতে তালাকপ্রাপ্ত সাবেক স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সাথী বেগমকে ওই বাড়িতে উঠিয়েছে। সাবেক স্বামীর বাড়িতে আসা সুমাইয়া আক্তার সাথী জানায়, ওই তালাক সে মানেন না, কে বা কারা টাকা নিয়েছে তাও সে জানেন না, তিনি তার সন্তান ও স্বামীর সংসারের অধিকারের দাবিতে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তাকে দেখে তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন? তিনি ওই সংসারেই থাকবেন এবং কেউ তাকে টলাতে পারবে না বলে দাবি করেন। প্রেমিকের হাত ধরে কেন পালিয়েছিল এমন প্রশ্নে বলেন, সেটা ভুল হয়েছিল, সেজন্য স্থানীয় বিচার শালিসে মিমাংসা হয়েছে।
স্বামী রেজাউল সিকদার মোবাইল ফোনে বলেন, পরকিয়ায় জড়ানো এবং প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে ১৫/দিন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছে। এমন নারীর সাথে সংসার করা সম্ভব নয়, তাই তাকে সকল পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। তার সাথে ইসলামি শরিয়া মতে আর কোন সম্পর্ক নেই। দুস্ট লোকের কুপরামর্শে আমাকে সামাজিকভাবে খাটো ও হয়রানীর উদ্দেশ্যেই ফের আমাদের বাড়িতে ঢোকানো হয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাকির হোসেন বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর