আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
এক মাস ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি অপরূতা স্কুল ছাত্রী । অপরূতাকে উদ্ধার করতে পুলিশ রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছেন। রবিবার অপরূতার বাবা এমন অভিযোগ করেছেন। বাবার আরো অভিযোগ অপহরণকারী জহির ও তার লোকজনের তাকে অব্যহত প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের প্রাণ ভয়ে অপরূতার বাবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দ্রুত অপরূতাকে উদ্ধারের দাবী পরিবারের। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামে।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে নলবুনিয়া গ্রামের জাফর খাঁর ছেলে দুই সন্তানের জনক জহির খাঁ দীর্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছে। গত ২ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার পথে জহির খাঁ স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার দুইদিন পর স্থানীয় মাসুদ খাঁন, আব্দুল মোতালেব আকন ও মালেক গাজী শাসিল বৈঠকে স্কুল ছাত্রীর ইজ্জতের মুল্য এক লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে জহির খাকে জরিমানা ধায্য করেন। ছাত্রীর বাবা এ রায় না মেনে মেয়েকে উদ্ধারের দাবী জানান। কিন্তু অপরূতাকে তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা ৬ অক্টোবর তালতলী থানায় জহির খাকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই পুলিশ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষা ও জবাব বন্দী না নিয়ে তাকে তার বাবার কাছে তুলে দেন। ওইদিন ভোর রাতে জহির ও তার লোকজন স্কুল ছাত্রীতে পুনরায় অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি তালতলী থানায় অবগত করা হয়। অপহরণের এক মাস ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও অপরূতাকে পুলিশ উদ্ধার করেনি। অপরূতাকে উদ্ধারে পুলিশের ভুমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন বাবা। অপরূতাকে উদ্ধারের বাবা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো অপহরণকারী জহির ও তার লোকজন অপরূতার বাবাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। অপহরণকারী ও তার লোকজনের অব্যহত হুমকিতে অপরূতার বাবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দ্রুত অপরূতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন বাবা।
স্থানীয় আল আমিন, ইব্রাহিম মোল্লা ও ইলিয়াস খা বলেন, অপহরনকারী জহির খা ও তার লোকজন অপরূতার বাবাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। প্রাণ ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে শালিস মাসুদ খাঁন বলেন, শালিসের মিমাংশার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তা হয়নি।
তালতলী থানার এস আই কামাল হোসেন বলেন, অপরূতাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু অপহরণকারী এলাকায় নেই। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার আসামী জহির খাঁ ও অপরূতার লোকেশন সনাক্ত করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যই আসামীকে গ্রেপ্তার ও অপরূতাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবে।
তালতলী থানার ওসি ইমরান আলম বলেন, দ্রুত অপরূতাকে উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তার করা হবে।
এমএইচকে/এমআর