গৌরনদীতে নার্সের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ!
প্রথম পাতা »
বরিশাল »
গৌরনদীতে নার্সের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ!
শুক্রবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৪
গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বেজগাতি সুইজ হাসপাতালে জোরপূর্বক টেনেহেঁচড়ে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারী করানোর সময় নবজাতক ছেলে সন্তান মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের ২নার্সের বিরুদ্ধে। ভূল চিকিৎসায় নবজাতক মারা যাওয়ার অভিযোগে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী শুক্রবার সকালে সুইস হাসপাতালে ভিড় করে কথিত ওই ২ নার্সের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে অভিযুক্ত নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তার পালিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধরা হামলায় চালিয়ে মার্কেটিং অফিসার মো. মনির মারধর করে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রসূতির স্বামী গৌরনদী পৌরসভার টরকীরচর এলাকার সবুজ মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে
তার স্ত্রী সাবিহা বেগমের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে বেজগাতি সুইজ হাসপাতালে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে কোন এম.বি.বি.এস চিকিৎসক না থাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত ডি.এম.এফ (ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি) সঞ্জীব মজুমদার তার স্ত্রীকে ভর্তি করেন। একপর্যায়ে রাত তিনটার দিকে নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তারকে দিয়ে জোরপূর্বক তার স্ত্রী সাবিহাকে নরমাল ডেলিভারী করার চেষ্টা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রায় আধঘন্টা চেষ্টার পর একটি নবাজাতক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তবে নবজাতক অচেতন অবস্থায় থাকায় ও কোন কান্নাকাটির শব্দ না করায় কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক নবজাতককে বরিশাল শেরইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দেন। ভোর পৌনে ৫টার দিকে নবজাতককে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতক হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছে বলে জানান।
এ বিষয়ে সুইজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডিএমএফ ডা. সঞ্জীব মজুমদার (ডি.এম.এফ) বলেন, ভর্তির সময় পরিক্ষা নিরীক্ষায় প্রসূতি মা ও তার গর্ভের সন্তান সুস্থ ছিল দেখা গেছে। তবে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য কককরতে রাজি হয়নি।
সুইজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রুপা খাতুনের কাছে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে চড়াও হয়ে বলেন, আমি কোন বক্তব্য দিব না। রোগীর স্বজনদের কোন অভিযোগ নেই। আপনারা যে যা লিখতে পারেন লিখেন।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএসআর/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৫:১২ ●
৫ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)