আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকা তালতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আল আমিন নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রুত তদন্ত করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
জানাগেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা উপকরণ, বিদ্যালয়ের আসবাকপত্র ক্রয়, পয়ঃ নিস্কাশনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করতে শিক্ষার্থী ভেদে স্কুল প্রতি ৫০হাজার থেকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তালতলী উপজেলার ৭৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৪০ লক্ষ ৩০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই টাকা গত মে মাসে ছাড় দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, তালতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আল আমিন ওই ৭৯টি বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে স্কুল প্রতি দুই হাজার টাকার করে ঘুষ নিয়েছেন। সহকারী শিক্ষা অফিসারের এমন ঘুষ নেয়ার ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আরো অভিযোগ রয়েছে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ঘুষ না দিলে নানা শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানী করছেন। দ্রুত এমন ঘুস গ্রহনকারী সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা। তার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে খারাপ আচরনের অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষিকা লাইলি বেগমের স্বামী মাহাবুব আলম তুহিন বলেন আমার স্ত্রীর লাইলি বেগমের সঙ্গে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার খারাপ আচরন করেছেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছেন। আমি এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে তার শাস্তি দাবী করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিস মানেই অনিয়মের কারখানা। ঘুস ছাড়া তালতলী শিক্ষা অফিসে কিছুই চলে না। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আল আমিন ঘুস ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তাকে ঘুস না দিলে শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানী করেন তিনি।
হরিনবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভঙ্কর চন্দ্র অধিকারী ও ছোট অংবুজানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন মোবারক বলেন, স্লিপের টাকা তুলতে শিক্ষা অফিসে দুই হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
তালতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আল আমিন ঘুষ গ্রহনের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি সহকারী শিক্ষা অফিসার আমার স্লিপের টাকায় ঘুস নেই কিভাবে?
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার আবু ছালেহ বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ উম্মে ছালমা বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর