আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আমতলী উপজেলা আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুবদল অফিসের আসবাবপত্র জিয়া উদ্দিন হাওলাদার ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মোঃ জালাল হাওলাদার এমন অভিযোগ করেন। জিয়া উদ্দিন হাওলাদার যুবদল অফিসের মালামাল ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, গত ৫আগষ্টের পরে জালাল হাওলাদারের নেতৃত্বে যুবদল কর্মীরা বাজারের দোকানপাট লুট ও চাঁদা তুলে বেশ টাকা আদায় করেছে। ওই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ হয়। ওই দ্বন্ধের জের এবং কয়েকজন মিলে টাকা আত্মসাৎ করতেই জালাল নিজেই অফিসের মালামাল ভাংচুর করে নাটক সাজিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকাল নয়টার দিকে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুবদল কর্মীরা গত ৫ আগষ্টের পর বিভিন্নভাবে অপকর্মে জড়িয়ে পরেছেন। দোকাপাট লুট ও চাঁদাবাজী করে বেশ টাকা আদায় করেছেন এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের। ওই টাকা নিয়ে যুবদল সভাপতি জালাল হাওলাদার ও অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে দ্বন্ধ হয়। এ দ্বন্ধের জের ধরে শনিবার সকালে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন যুবদল অফিসের মালামাল ভাংচুর হয়। ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি জালাল হাওলাদারের অভিযোগ জিয়া উদ্দিন হাওলাদার যুবদল কার্যালয়ের কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর ও ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে। স্থানীয়রা বলেন, যুবদল অফিসের মালামাল ভাংচুরের খবর আমরা জানিনা। যুবদল সভাপতি বলতেছে তার অফিসের মালামাল জিয়া উদ্দিন ভাংচুর করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, নিজেদের অভ্যান্তরীন দ্বন্ধের কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, যুবদল অফিসের মালামাল ভাংচুরের বিষয়টি সভাপতি জালালের মুখে শুনেছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে অফিসের মালামাল ভাংচুর হয়েছে কিনা তা আমরা জানিনা।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম মাতুব্বর বলেন, যুবদল অফিসের মালামাল ভাংচুরের খবর আমার জানা নেই।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা বলেন, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি জালাল হাওলাদারের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবদল নেতাকর্মী বেশ কিছু টাকা চাঁদা আদায় করেছে। ওই চাঁদার টাকা ভাগাভাগির দ্বন্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, যুবদল অফিসের মালামাল ভাংরের বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর