কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥
কুয়াকাটায় বেরীবাধঁ সংস্কার কাজে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ীর ক্ষতিপুরণের অর্থ নিধারণে বৈষম্য করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে তিন মাসের সময় দেওয়ার সূযোগ থাকলেও ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের ১ সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ী সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান করে বেড়ীবাধ সংস্কার কাজে নিয়োজিত কন্সালটেন্ট কোম্পানী (জিডিসিএস এবং পিএমএস) কর্তৃপক্ষ। চলতি পর্যটন মৌসুমের ১ মাস বাকী থাকতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার এমন নোটিশে হতবাগ হয়ে পরেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
পুণর্বাসনের ব্যবস্থা না করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না সরানোর দাবী জানিয়ে বুধবার শেষ বিকেলে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ্য শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতিপুরণ নির্ধারনে কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কন্সালটেন্ট কোম্পানী কর্তৃপক্ষ।
মানবন্ধনকালে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাসুম, সোবাহান, ইমাম হোসেন ও ফারুক বলেন, ক্ষতিপুরণের অর্থ নির্ধারনের সময় অসাধাচরণ করা হয়েছে। একই মানের ঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতিপুরণ নিধারণে আকাশ পাতাল ব্যবধান রয়েছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাসুম আকন সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটা বেড়ীবাঁধের জিরোপয়েন্টে অবস্থিত মটর সাইকেল পার্টস বিক্রেতা রফিকের ১০/১০ হাত একটি ঘরের ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। অন্যদিকে জাকির টেলিকম নামক ইলেক্ট্রিক্যাল সমমানের একটি দোকানের ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ হাজার টাকা। চা দোকানী সোবাহান বলেন, পটুয়াখালী জয় হোটেল এন্ড রেস্তোরার ক্ষতিপুরণ ৫লাখ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়। অপরদিকে সমমানের রেস্টুরেন্ট বৈশাখী হোটেলের ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা হয় ৩লাখ ১০ হাজার টাকা। এমন বৈষম্যের প্রতিবাদ জানায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধণকালে ব্যবসায়ীরা বলেন আমরা ক্ষুতিপুরণ চাইনা পুর্ণবাসন চাই। পর্যটন মৌসুম চলাকালে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হলে হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পরবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিয়ে নতুন করে অন্যত্র স্থানান্তর করার ব্যক্তিমালিকানাধীন কোন জায়গা নেই। মার্কেট করার জন্য সরকারের অনেক পতিত জমি রয়েছে। রাজস্ব নির্ধারণ পুর্বক সরকারী ভাবে পুর্ণবাসনের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।
এ বিষয়ে জিডিসিএস এবং পিএমএস কন্সালটেন্ট কোম্পাণীর (আইসিআইপি প্রকল্প-১) এর রিপ্লেসমেন্ট স্পেশালিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফেরদৌস রহমান জানান, বেড়ীবাঁধের সংস্কার কাজে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বা ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপুরণ নির্ধারণে কোন অনিয়ম হয়নি। তাদের কথিত মতে এবং কয়েক দফা পর্যালোচনা করে ক্ষতিপুরণ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেকের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অডিও ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়েছে।