জলবায়ু পরিবর্তণের ফলে উপকূলী এলাকায় শস্য উৎপাদন ১০-১৫শতাংশ হ্রাস পাবে!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » জলবায়ু পরিবর্তণের ফলে উপকূলী এলাকায় শস্য উৎপাদন ১০-১৫শতাংশ হ্রাস পাবে!
সোমবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৪


জলবায়ু পরিবর্তণের ফলে উপকূলী এলাকায় শস্য উৎপাদন ১০-১৫শতাংশ হ্রাস পাবে!

দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ১০-১৫ শতাংশ শস্য উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের উদ্যোগে “সকলে মিলে ভবিষ্যত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা” শীর্ষক গ্লোবাল ক্লাইমেট টক সেমিনারে আমন্ত্রিত পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স রুমে সকাল ১০টা থেকে দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি’র উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ফার্মাকোলোজিস্ট প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। সেমিনারে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিওমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এন এম  সফিকুল আলম, আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস গ্রিন চেম্বার অফ কমার্স এর সিইও মিশেল থ্যাচার।
আনুষ্ঠানে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তন ও এটি প্রতিরোধের উপর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত  বিভিন্ন প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনসহ ও  দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
জিওমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এন এম  সফিকুল আলম বলেন,” ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ১০-১৫ শতাংশ শস্য উৎপাদন হ্রাস পাবে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের রোগের উপদ্রব বৃদ্ধি পাবে। পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি  ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অতিসত্বর তাপমাত্রা প্রশমনে নবায়নযোগ্য শক্তি ও সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। ”
ইউএস গ্রিন চেম্বার অফ কমার্স এর সিইও মিশেল থ্যাচার বলেন,”  জলবায়ু নিয়ে গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ২০২৩ বিশ্বের সর্ব উষ্ণ বছর। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”  এসময় তিনি আইপিসিসি এর সম্মিলিত প্রতিবেদন শেয়ার করেন।”
পবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এখন বাংলাদেশ। সমগ্র বিশ্বে যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তা আশঙ্কাজনক; যা আমরা অনেকে বুঝতেই পারি না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এখন সচেতন। জলবায়ু পরিবর্তনরোধে নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি সবুজ-শান্ত-শীতল বিশ্ব প্রত্যাশা করে শিক্ষার্থীরা। ভাইস-চ্যান্সেলর আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।  দুর্যোগ প্রশমন ও টেকসই উন্নয়নের উপর আমাদের সবার গুরুত্ব দিতে হবে।”

 

 

 

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৫:২৮ ● ১৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ