গৌরনদী (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
মাদারীপুরে কালকিনিতে দোকানঘর পুনর্রায় ভাড়া না দেয়ার জেরধরে হামলা চারিয়ে বাড়ির গেট ভাংচুর ও নারী- শিশুসহ ৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার বিকেলে কালকিনি পৌরসভার কালকিনি পুরান বাজার সংলগ্ন (চরবিভাগদী) এলাকায এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় জসিম উদ্দিন বেপারী, তার সহোদর কামরুজ্জামান ওয়াসিম, জসিমের চাচা আকবর আলী বেপারীকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৩ বছরের চুক্তির মেয়াদোত্তীর্ণ হলে দোকান মালিক জসিম উদ্দিন বেপারী ও তার সহোদর কামরুজ্জামান ওয়াসিম দোকানের ভাড়াটিয়া বিল্পব বেপারীকে তার (বিপ্লব) ছোট ভাই রাজন বেপারীর মাধ্যমে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। এরপর ভাড়াটিয়া বিপ্লব দোকান ঘর বুঝিয়ে দিলে দোকান মালিক ওয়াসম ওই দোকানে ব্যবসা শুরু করেন। আ’লীগ সরকার পতনের পর থেকে জসিম ও ওয়াসিমের কাছে আরো (বৈদ্যুতিক মিটার আনার) টাকা পাওনা দাবি করে আসছিল বিল্পব। শনিবার দুপুরে নিজবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে ওয়াসিম ভুরঘাটা যাবার পথিমধ্যে কালকিনি থানার মোড়ে পৌছলে বিপ্লব বেপারী ওয়াসিমের গতিরোধ করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে বিপ্লব ওয়াসিমের দোকান ঘর তালাবদ্ধ করতে চেষ্টা করে। এ সময় ওয়াসিমের বড় ভাই জসিম বাঁধা দিলে তাকে (জসিম) মারধর করে সে। পরবর্তীতে মোটরসাইকেল যোগে জসিম উদ্দিন তার আত্মীয়র জানাজায় রওনা দিলে বিপ্লব বেপারীর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনে গতিরোধ করে কুপিয়ে জসিমের মাথায় মারাত্মক জখম ও তাকে হাতুড়ি পেটা করে। খবর পেয়ে জসিমকে উদ্ধারের জন্য ছোট ভাই ওয়াসিম ও তার চাচা আকবর বেপারী এগিয়ে আসলে তাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। এ সময় হামলাকারীরা জসিমের বাড়ির টিনের গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে জসিম ও ওয়াসিমের পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলায় জসিম উদ্দিন বেপারী, তার সহোদর কামরুজ্জামান ওয়াসিম, চাচা আকবর আলী বেপারী, বোন সালমা আক্তার, ওয়াসিমের ছেলে সিফাত আহমেদ, চাচাতো ভাই ইমরান বেপারী, ইমদাদ হাওলাদারসহ ৮জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জসিম, ওয়াসিম আকবরকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কালকিনি থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএসআর/এমআর