নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা॥

নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গত কয়েকদিন যাবৎ চলছিল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিহীন। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করে আসছিলেন ডা: নাজমুল হাসান মাসুদ খান। ইতিমধ্যে খবর আসে একাদিক দুর্নীতির অভিযোগের বোঝা মাথায় নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে যোগদান করবেন ডা: মামুন হাসান। এমন খবরে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন স্থানীয় লোকজন। এতে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে হয়ে যায়। তবে ডা: মামুন হাসানের কক্ষে কে বা কারা তালা জুলিয়ে রেখেছেন হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডা: নাজমুল হাসান মাসুদ তা জানেন না।
ডা: মামুন হাসান বাগেরহাট জেলার চিতলমারি সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করে আসছিলেন। সেখানে সিমাহীন দুর্নীতি ও গত ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ছাত্র জনতার আন্দোলনের রোশানলে পরেন এবং ছাত্র আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থানে ছিলেন। ৫ আগষ্টের পর তার বিরুদ্ধে বাগেরহাটের চিতলমারির ছাত্রজনতা তার পদত্যাগের দাবিতে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয়। এতে তিনি ছাত্রজনতার তোপের মুখে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহাতায় বের হয়ে কিছু দিন গাঢাকা দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা: মামুন হাসানের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নাজমুল হাসান মাসুদ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি শুনেছি নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে তার পদায়ন হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার এখানে যোগদানের করবেন। তবে তার কক্ষে বাহির থেকে এসে কে বা কারা যেন তালা জুলিয়ে রেখেছেন। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।

পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা: মিজানুর রহমান জানান, “ডা: মামুন হাসান আমাকে ফোন দিয়ে নেছারাবাদ হাসপাতালে যোগদান করবেন বলে জানিয়েছেন। আমি তাকে অর্ডার আদেশ নিয়ে আসতে বলেছি”। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, “বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আজকেই তার দুর্নীতির বিষয়ে শুনেছি। তবে তার অফিস কক্ষে তালা জুলানোর বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি ডা: মামুন হাসানের বিষয়ে বিভাগীয় পরিচালক মহোদয়কে জানাব”।

আরএ/এমআর