কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী জিয়া কলোনীর ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারকে পুনর্বাসনে সহযোগিতার করার আশ^াস দিয়েছেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ভূমিহীন পরিবারের সদস্যরা পুনর্বাসনের দাবীতে মিছিলসহ পায়রা বন্দরের গেটে এসে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে বন্দরের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার জন্য ৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে যান। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতিনিধি ইব্রাহিম শিকারী, মোঃ ফোরকান হাওলাদার, লাইলী এবং কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম। প্রতিনিধি দল পায়রা বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে পুনর্বাসনের দাবীতে লিখিত আবেদন জমা দেন। বন্দর চেয়ারম্যান আবেদন গ্রহণ করেন এবং পায়রা বন্দরের উর্ধতন ৪ জন কর্মকর্তাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন। এই সময়ে ভূমিহীন পরিবারের প্রতিনিধিদের সাথে ৩০মিনিটের বেশী সময় কথা বলেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান। ভূমিহীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে তার দিক থেকে আইনী জটিলতার কথা বলেন। সেই সাথে পায়রা বন্দর মানবিক দিক বিবেচনা করা পুনর্বাসনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে গত শুক্রবার জিয়া কলোনীর ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারকে ভেকু নিয়ে উচ্ছেদ করতে আসে ঠিকাদারের লোকজন। এ সময়ে পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন তারা। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেসবুকের মাধ্যমে পুনর্বাসনের আগে উচ্ছেদ না করার জন্য নির্দেশনা দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের বসবাসকারী এই পরিবারগুলো উচ্ছেদ হতে যাচ্ছে। পরিবারগুলোকে কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বিগত দুই দশক আগে বাস্তুভিটাহীন ভূমিহীন পরিবারগুলোকে বসবাসের জন্য ইটবাড়িয়া গ্রামে আন্ধারমানিক নদীর তীরবর্তি বেড়িবাধের ঢালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কলোনী করে থাকার সুযোগ করে দেয় সরকার। এরপর থেকে তারা দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল থেকে পায়রা বন্দর প্রশাসনিক ভবন হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে পায়রা বন্দরের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রাস্তা নির্মাণ করতে কলোনীসহ বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী ১৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়। এর প্রতিবাদে ভূমিহীন পরিবারগুলো পুণর্বাসন দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন করে আসছিলেন।
এসএম/এমআর