নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নেছারাবাদে বোন ভাগিননাদের সাথে পৈত্রিক ও রেকর্ডিয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলদিয়া ইউনিয়নের বিন্না গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবে ওই সম্মেললে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন।
ভুক্তভুগি শিক্ষক দাবি করে বলেন, ছোট বয়সে তার বাবা মারাযান। তার পর থেকেই বোন-ভাগিনাদের সাথ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃস্টি করে। আমরা ৬ভাই ও ৯ বোন। পিতা মৃত্যুর পূর্বে আমার অপর পাঁচ ভাইকে বেশ কিছু সম্পত্তি লিখে দিয়ে যান। পরবর্তিতে আমার ভাইয়েরা আমাকে কিছু সম্পত্তি লিখে দেন। আমি সেই সম্পত্তি রেকর্ড করিয়ে এবং পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভোগ দখলে রয়েছি। আমার ৯বোনের মধ্যে প্রতিপক্ষ মোসাঃ ফাতেমা বেগম এর ছেলে-মেয়ে ফোরকান, বিলকিস, সেলিম, আলিম, ইব্রাহীম, ওয়াহিদ, মেহেদী ও ইমরান (আমার বোন ভাগিনা) আমার জমির মধ্যে জোর পূর্বক ক্ষমতা বলে পিলার বসালে আমি প্রতিবাদ করি ইহাতে তারা আমাকে হুমকী দেয়। পরে আমি অভিযোগ দিলে থানা থেকে শালিশ মানিয়ে দেন। কিন্তু তারা শালিশে না বসে আমার ওই সম্পত্তিতে টোংঘর নির্মাান করে বসবাস শুরু করে। তারা আমাকে বিভিন্ন প্রাকাশ্যে হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি আমার সম্পত্তি যাতে ফিরে পাই তার জন্য আপনাদের স্মরণাপন্ন হয়েছি। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাব দেন।
এ বিষয়ে তার প্রতিপক্ষ (ভাগ্নে) মো. ইব্রাহীম জানান, আমার নানার তিন সংসারে ৬ ছেলে ৯ মেয়ে। আমাদের নানার প্রায় অর্ধশত বিঘা সম্পত্তি রেখে গেছেন। আমাদের মামারা তাদের বোনদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে নিজেরা সম্পত্তি ভোগদখল করছেন। আমার মামা মো. খলিলুর রহমান অন্যের সম্পত্তি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে ভোগ দখল করতে বলে। এই নিয়ে বহু শালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নী। আমরা আমাদের নানার সম্পত্তিতে বহুপূর্বে ঘর নির্মান করে বসবাস করছি। মামাদের কেউ কেউ সম্পত্তি দিতে রাজি থাকলেও আমাদের মামা মাষ্টার খলিলুর রহমান বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানী করছেন।
আরএ/এমআর